ত্রিপুরার দুই আসনে ২৩ প্রার্থী, কেউ এইট পাস তো কেউ মাস্টার্স

ত্রিপুরায় ইভিএমে ভোট দেওয়া বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
ত্রিপুরায় ইভিএমে ভোট দেওয়া বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে লোকসভার দুটি আসন রয়েছে। ওই দুটি আসনে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন ২৩ জন। বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস ছাড়াও রয়েছেন নির্দল এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরা।

মনোনয়ন পর্ব শেষ হতেই প্রার্থীদের হলফনামা বিচার করতেই বেরিয়ে আসছে চমকপ্রদ সব তথ্য। প্রার্থীদের মধ্যে চারজন দশম শ্রেণির মান উত্তীর্ণ করতে পারেননি। আবার সাতজন এমএ পাস। স্নাতক আছেন আটজন। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির মান উত্তীর্ণ প্রার্থী আছেন দুজন করে।

২৩ প্রার্থীর মধ্যে ২০ জনই পুরুষ। কংগ্রেস ও বিজেপি একজন করে নারীকে প্রার্থী করেছে। অপরজন স্থানীয় সর্বভারতীয় পিপলস কংগ্রেসের প্রার্থী।

ত্রিপুরায় ভোটযুদ্ধে সবচেয়ে কম বয়সী প্রার্থীর বয়স ২৫ বছর। আর সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির বয়স ৭৬ বছর। পেশা হিসেবে ভোট প্রার্থীদের বেশির ভাগই সমাজসেবাকে উল্লেখ করেছেন। ১১ জনই সমাজসেবী। পাশাপাশি প্রাইভেট টিউশনকে পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন চারজন।

ভারতের জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার সদস্য পদের প্রার্থীদের মধ্যে কৃষক, ছুতোরদের পাশাপাশি শিক্ষক, অবসরপ্রাপ্ত আমলা, প্রকৌশলী, ভূতত্ত্ববিদ ও গৃহবধূ রয়েছেন।

ত্রিপুরায় লোকসভার দুটি আসনই এখন সিপিএমের দখলে। পশ্চিম ত্রিপুরায় লড়ছেন শংকর প্রসাদ দত্ত (৬১) এবং পূর্ব ত্রিপুরা তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত আসনে লড়ছেন জিতেন চৌধুরী (৬০)।

শংকর প্রসাদ আইন পেশার পাশাপাশি সমাজসেবাকেও জীবিকা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আর উচ্চমাধ্যমিক পাস জিতেনের পেশা রাজনীতি।

ত্রিপুরার দুটি লোকসভা আসনের মোট ভোটার ২৬ লাখ ৫ হাজার ৩২৫। এর মধ্যে ৩৯ হাজার ৭৭ জনেরই বয়স ১৮ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। রাজ্যে তৃতীয় লিঙ্গের ১৪ জন ভোটারও রয়েছেন। ভোট গ্রহণ কেন্দ্র খোলা হচ্ছে ৩ হাজার ৩২৪টি।

পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ভোট হবে ১১ এপ্রিল। আর পূর্ব ত্রিপুরায় ১৮ এপ্রিল। ভোট গণনা হবে পুরো দেশের সঙ্গে আগামী ২৩ মে।

দুটি আসনেই ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে)। সঙ্গে থাকবে ভোটার ভেরিফায়েড পেপার অডিট ট্রেইলিং (ভিভিপ্যাট)। এসব বিষয়ে এখন ভোটারদের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।