শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিপাকে বিজেপি প্রার্থী

গুয়াহাটির বিজেপি প্রার্থী ক্যুইন ওঝার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিপাকে বিজেপি। ছবি: সংগৃহীত
গুয়াহাটির বিজেপি প্রার্থী ক্যুইন ওঝার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিপাকে বিজেপি। ছবি: সংগৃহীত

উত্তর–পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দলের প্রার্থীর ক্যুইন ওঝার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিপাকে রয়েছে। তাও আবার খোদ রাজধানী শহরে। ভারতের নির্বাচন কমিশন এর মধ্যেই বিজেপির ওই প্রার্থীর বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন আধিকারিকের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছে।

ভারতে প্রথম দফার নির্বাচন ১১ এপ্রিল। উত্তর পূর্ব ভারতের ৮ রাজ্যে লোকসভার মোট ২৫টি আসনে ভোট হবে। এই ২৫টির মধ্যে ১৪টি আসনই আসামে হবে।

আসামে ভোট হচ্ছে তিন দফায়। প্রথম দফায় ১১ এপ্রিল ভোট হবে ৫টি আসনে। দ্বিতীয় দফায়ও ৫টি আসনে ভোট হবে ১৮ এপ্রিল। আর তৃতীয় তথা শেষ দফায় রাজধানী গুয়াহাটিসহ ৪টি লোকসভা কেন্দ্রে ২৩ এপ্রিল ভোট হবে।

তিন দফাতেই ভোটের মনোনয়নপ্রক্রিয়া প্রায় শেষ। ১৪টি কেন্দ্রে প্রার্থী রয়েছেন ১৫৪ জন। এর মধ্যে প্রথম দফায় ৫টি কেন্দ্রে ৪১ জনের ভাগ্য পরীক্ষা হবে। দ্বিতীয় দফায়ও ৫টি কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী ৫০ জন। আর শেষ দফায় ৪টি কেন্দ্রে ভোট হলেও প্রার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ৬৩।

গুয়াহাটি কেন্দ্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এখানকার বিজেপি প্রার্থী ক্যুইন ওঝা হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন, তিনি উচ্চতর মাধ্যমিক পাস। তিনি একটি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও উল্লেখ করেন।
মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠানে উচ্চতর মাধ্যমিক বা দ্বাদশ শ্রেণির সমমানের কোনো কোর্সই নেই। অতীতেও ছিল না। বিপত্তির শুরু এখান থেকেই।

সংবাদমাধ্যমের কাছে এখন অবশ্য ক্যুইন ওঝা দাবি করছেন, তিনি মাধ্যমিক পাস। এমন হলফনামা কেন দেওয়া হয়েছে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভুল হয়ে থাকতে পারে।’

তবে বিরোধী পক্ষ কংগ্রেস বিষয়টিকে নিছক ভুল হিসেবে দেখতে নারাজ। তাঁরা বিজেপি নেতাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন।

গুয়াহাটি কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থীও নারী। তাঁর নাম ববিতা শর্মা। তিনি এমএ পাস। প্রতিপক্ষ নারীর বিরুদ্ধে ভোট প্রচারেও উঠে আসছে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিতর্কও। ববিতা অভিযোগ করে বলেন, ‘বিজেপি পার্টিটাই জুমলা (মিথ্যা) বাজির পার্টি। খোদ নরেন্দ্র মোদি (প্রধানমন্ত্রী), স্মৃতি ইরানিদের (বর্তমানে ভারতের বস্ত্রমন্ত্রী) শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও তো ধোঁয়াশা রয়েছে।’

ভারতের নির্বাচন কমিশন পুরো বিষয়টি তদন্ত করে আসামের নির্বাচন দপ্তরকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে। এ নিয়ে বিজেপি শিবিরে উত্তেজনা চলছে।

আসামে মূল লড়াই বিজেপি-জোটের সঙ্গে কংগ্রেসের। কংগ্রেস ১৪টি আসনেই লড়ছে। বিজেপি লড়ছে ১০টি আসনে। ৪টি আসন তাঁরা শরিকদের ছেড়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ সবাই আসামকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।