তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ বিজেপির আলুওয়ালিয়ার

মমতাজ সংঘমিতা, সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া এবং আভাস রায় চৌধুরী। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
মমতাজ সংঘমিতা, সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া এবং আভাস রায় চৌধুরী। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

অন্যান্য আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হলেও পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনের প্রার্থীর নাম এত দিন ঘোষণা করেনি বিজেপি। এবার সেই আসনেই বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে রোববার। ইনি হলেন সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। তিনি এই দুর্গাপুরের ভূমিপুত্র। তাঁর শ্বশুরবাড়িও এখানে। শিখ সম্প্রদায়ের হলেও সাবলীলভাবে বাংলায় কথা বলেন।

দুর্গাপুর পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রসিদ্ধ শিল্প এলাকা। এর আশপাশেই রয়েছে কয়লাশিল্প থেকে আয়রন শিল্পসহ আরও বহু শিল্পপ্রতিষ্ঠান।

সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া ২০১৪ সালের নির্বাচনে লড়েছিলেন দার্জিলিং কেন্দ্র থেকে বিজেপিরই টিকিটে। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন প্রখ্যাত ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া। বাইচুংকে তিনি ১ লাখ ৯৭ হাজার ২৩৯ ভোটে হারিয়ে দিয়েছিলেন। আলুওয়ালিয়া পেয়েছিলেন ৪ লাখ ৮৮ হাজার ২৫৭ ভোট। আর বাইচুং পেয়েছিলেন ২ লাখ ৯১ হাজার ১৮ ভোট। এবার আর আলুওয়ালিয়াকে মনোনয়ন দেয়নি বিজেপি। কারণ তিনি জয়ের পর তেমন পা রাখেননি দার্জিলিংয়ে। দার্জিলিংয়ের মানুষও চাইছিলেন না আলুওয়ালিয়াকে।

এবার বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে তৃণমূল প্রার্থী করেছে গত বছরের বিজয়ী প্রার্থী চিকিৎসক মমতাজ সংঘমিতাকে। বামফ্রন্ট করেছে আভাস রায় চৌধুরী আর কংগ্রেস করেছে বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়কে। 

গত নির্বাচনে এই আসনে সংঘমিতা ১ লাখ ৭ হাজার ৩৩১ ভোটে হারিয়ে দিয়েছিলেন সিপিএমের প্রার্থী শেখ সাইদুল হককে। সাইদুল হক পেয়েছিলেন ৪ লাখ ৪৭ হাজার ১৯০ ভোট। আর সংঘমিতা পেয়েছিলেন ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৫২১ ভোট। আর বিজেপির প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী পেয়েছিলেন ২ লাখ ৩৭ হাজার ২০৫ ভোট। গত নির্বাচনের ভোটের অঙ্ক কষে এবং বর্তমানে বিজেপির উত্থানে বিজেপি মনে করছে এবার তাদের প্রার্থী আলুওয়ালিয়া জিতে যাবেন।
আলুওয়ালিয়া মনোনয়ন পাওয়ার পরের দিন সোমবার দুর্গাপুর-বর্ধমানে এক বিশাল মিছিল বের করে এলাকাবাসীকে জানান দিয়েছেন, এবার তৃণমূকে জিততে হলে তাঁর চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগোতে হবে। মিছিলে হাজার হাজার মানুষের ভিড় দেখে বিজেপির কর্মীরা উজ্জীবিত।
তবে সংঘমিতা বলেছেন, তিনি নিশ্চিত গত নির্বাচনের মতো এবারও তিনি জিতবেন। মানুষ সাম্প্রদায়িকতাকে এবার আর ভোট দেবে না। ভোট দেবে মমতার উন্নয়নের জোয়ার দেখে।

আর সিপিএমের প্রার্থী আভাস রায় চৌধুরী বলেছেন, গত নির্বাচনে তাঁরা দ্বিতীয় হয়েছিলেন। এবার বড় দুই দলের লড়াইয়ের মাঝে তারাও জিততে পারে বলে মনে করছে বামদল।
এই আসনের নির্বাচন হবে চতুর্থ দফায় ২৯ এপ্রিল।