বোরকাধারীর তল্লাশি চাইলেন বিজেপি প্রার্থী

উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে বিজেপির প্রার্থী সঞ্জীব বল্যান। ছবি: রয়টার্স।
উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে বিজেপির প্রার্থী সঞ্জীব বল্যান। ছবি: রয়টার্স।

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার সকালে। উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগর নির্বাচনী এলাকার ১৬ লাখ ভোটারের মধ্যে প্রায় ৫ লাখই মুসলিম। প্রভাবশালী দুই প্রার্থী রাষ্ট্রীয় লোক দলের প্রধান অজিত সিং এবং বিজেপির সঞ্জীব বল্যানের লড়াই চলছে এই আসনে। উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলের শহর মুজাফফরনগরে ‘ভুয়া’ ভোট গ্রহণ চলছে বলে অভিযোগ করেছেন সঞ্জীব। একই সঙ্গে বোরকা পরা ভোটারদের তল্লাশিও কামনা করেন।

ভোট শেষে কেন্দ্রের সামনে সাংবাদিকদের সঞ্জীব বলেন, ‘বোরকায় মুখ ঢেকে ভোট দিতে আসা নারীদের তল্লাশি করা হচ্ছে না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এখানে জাল ভোট দেওয়া হচ্ছে। এখনো যদি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে পুনর্নির্বাচনের জোর দাবি জানাব আমি।’

উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং অন্ধ্র প্রদেশের বেশ কয়েকটি আসনে ত্রুটিপূর্ণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের কথা জানা গেছে। এ কারণে ভোট গ্রহণে বেশি সময় লাগছে।

সাম্প্রদায়িকভাবে সংবেদনশীল মুজাফফরনগরে ১১ লাখ হিন্দু ও ৫ লাখ মুসলিম ভোটারের সামনে হাজির হয়েছেন দোর্দণ্ড প্রতাপশালী দুই প্রার্থী। মায়াবতী ও অখিলেশ যাদবের সঙ্গে জোট বেঁধেছেন রাষ্ট্রীয় লোক দলের প্রধান অজিত সিং।

অন্যদিকে, সঞ্জীব বল্যান বর্তমানে সংসদে আইনপ্রণেতার দায়িত্ব পালন করছেন। মুজাফফরনগরে কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়নি কংগ্রেস। জোট দলগুলোর জন্য কংগ্রেসের ছেড়ে দেওয়া সাতটি আসনের মধ্যে এটি একটি। মূলত, জোট দলগুলোই এই অঞ্চলে কংগ্রেসকে ‘প্রবেশ নিষেধ’ সংকেত জানিয়ে দিয়েছিল।

২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের মাস ছয়েক মাস আগে, ২০১৩ সালে ইতিহাসের অন্যতম রক্তক্ষয়ী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সাক্ষী হয় মুজাফফরনগর। এই দাঙ্গায় প্রায় ৬০ জন নিহত ও ৫০ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালায়। সেবারের নির্বাচনে বহুজন সমাজ পার্টির প্রার্থী কাদির রানাকে প্রায় চার লাখ ভোটে হারিয়ে ক্ষমতায় আসেন বল্যান। এবারও যেন নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়, সে বিষয়ে জোর দিয়েছেন এই বিজেপি প্রার্থী।