দুঃখী-রাগী মানুষ বাড়ছে

>
  • আগের চেয়ে মানুষের রাগ, দুঃখ ও দুশ্চিন্তা বেড়েছে
  • প্রতি পাঁচজনের একজন বলেছেন, তাঁরা প্রায়ই বিষাদগ্রস্ত থাকেন
  • আফ্রিকার চাদে নেতিবাচক অনুভূতি বেশি

নতুন একটি বৈশ্বিক সমীক্ষা বলছে, বিশ্বে আগের চেয়ে মানুষের রাগ, দুঃখ ও দুশ্চিন্তা বেড়েছে। সমীক্ষাটি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জনমত জরিপ প্রতিষ্ঠান গ্যালাপ। বিশ্বের ১৪০টি দেশের প্রায় দেড় লাখ লোকের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে সমীক্ষাটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্যালাপ। এতে দেখা যায়, গত দুই বছরের চেয়ে দুঃখী ও রাগী লোকের সংখ্যা বেড়েছে বিশ্বজুড়ে।

গ্যালাপ ২০১৯ গ্লোবাল ইমোশনস রিপোর্ট নামের এই সমীক্ষা সম্প্রতি প্রকাশ করেছে গ্যালাপ। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া লোকদের প্রতিষ্ঠানটির গবেষকেরা ইতিবাচক ও নেতিবাচক অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চান। গবেষকেরা উত্তারদাতাদের সমীক্ষার ঠিক আগের দিনের অভিজ্ঞতা শুনতে চান। প্রশ্ন রাখা হয়, গতকাল তাঁরা কতটা হেসেছেন? কেমন সম্মান পেয়েছেন? বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ লোক বলেছেন, তাঁরা বেশ চাপের মধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন। প্রতি পাঁচজনের একজন বলেছেন, তাঁরা প্রায়ই বিষাদগ্রস্ত থাকেন বা ক্রোধানলে পোড়েন।

সবচেয়ে নেতিবাচক অনুভূতির দেশ হিসেবে শীর্ষে এসেছে আফ্রিকার দেশ চাদের নাম। চাদে প্রতি ১০ জনের ৭ জনই বলেছেন, গত বছর খাবার জোড়ার করতে লড়াই করতে হয়েছে তাঁদের। আর ৬১ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা শারীরিক কষ্টে কাটিয়েছেন বছরটা। নেতিবাচক অনুভূতির তালিকায় এরপরই রয়েছে নাইজার, সিয়েরা লিওন, ইরাক, ইরান, বেনিন, লাইবেরিয়া, গিনি, ফিলিস্তিন ও কঙ্গো।

সবচেয়ে ইতিবাচক দেশের শীর্ষে আছে প্যারাগুয়ে। এরপরই রয়েছে পানামা, গুয়াতেমালা, মেক্সিকো ও এল সালভাদর।