মাইকেল জ্যাকসনের নাম থাকবে কি থাকবে না

গার্ডেনার স্ট্রিট প্রাথমিক স্কুল মিলনায়তনের নাম পপ কিং মাইকেল জ্যাকসনের নামে রাখা ঠিক হবে কি না, তা নিয়ে চলছে ভোট গ্রহণ। ছবি: এএফপি।
গার্ডেনার স্ট্রিট প্রাথমিক স্কুল মিলনায়তনের নাম পপ কিং মাইকেল জ্যাকসনের নামে রাখা ঠিক হবে কি না, তা নিয়ে চলছে ভোট গ্রহণ। ছবি: এএফপি।

স্কুল মিলনায়তনে কিংবদন্তি পপ তারকা মাইকেল জ্যাকসনের নাম থাকবে কি থাকবে না, তা নিয়ে বেধেছে গোল। লস অ্যাঞ্জেলসের গার্ডেনার স্ট্রিট প্রাথমিক স্কুল মিলনায়তনের নাম ‘পপ কিং’য়ের নামে রাখা ঠিক হবে কি না, তা নিয়ে রীতিমতো অভিভাবকদের ভোট গ্রহণের আয়োজন করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, একটি তথ্যচিত্রে প্রয়াত পপ তারকা মাইকেল জ্যাকসনের বিরুদ্ধে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এসেছে। ‘লিভিং নেদারল্যান্ডস’ শীর্ষক এইচবিওর সেই তথ্যচিত্রে ৭ ও ১০ বছর বয়সে আমেরিকান এই সংগীতশিল্পীর কাছে যৌন নির্যাতনের শিকার হয় বলে জানায় দুটি ছেলে।

১৯৬৯ সালে স্কুলটিতে ভর্তি হন জ্যাকসন। কিন্তু তাদের পারিবারিক ব্যান্ড ‘দ্য জ্যাকসন ৫’–এর ‘আই ওয়ান্ট ইউ ব্যাক’ গানটি বিশাল মাপের হিট হলে স্কুল ছেড়ে দেন তিনি।

ভোটের ফলাফল কবে প্রকাশ করা হবে, সে বিষয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি গার্ডেনার স্ট্রিট স্কুলের কর্মকর্তারা।

স্কুলের অধ্যক্ষ কারেন হলিস বলেন, ‘আমাদের মিলনায়তনটির নাম নিয়ে বেশ কয়েকজন অভিভাবক এবং সদস্যের মন্তব্য আমার কানে আসে। পরবর্তী সময়ে সমস্যাটি সমাধানের দায়িত্ব তাঁদের ওপরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
১৯৮৯ সাল থেকে হলিউডের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত স্কুলটির অডিটরিয়ামের নাম মাইকেল জ্যাকসনের নামে রাখা হয়। এরপর প্রথমবারের মতো তাঁর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। ২০০৯ সালে অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারণে বিখ্যাত এই সংগীতশিল্পী মারা যান।

১৯৯৩ সালে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোর জ্যাকসনের বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ আনে। আদালতের মাধ্যমে সেবার মামলাটি মীমাংসা করা হয়। ২০০৫ সালে আরেক সংখ্যালঘু তাঁর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ জানালেও তিনি খালাস পেয়ে যান।

লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রবার্ট ফিৎজেরাল্ড নামে এক অভিভাবক বলেন, প্রাথমিক স্কুলের জন্য জ্যাকসনের নামটি খুব একটা গ্রহণযোগ্য নয়। তথ্যচিত্র থেকে প্রকৃত ঘটনার একটি স্পষ্ট চিত্র ফুটে উঠেছে।

অন্য এক অভিভাবক অবশ্য এই মতামতের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। মায়রন আরসালান নামের ওই অভিভাবক বলেন, এ দেশের অনেক মানুষই এর চেয়ে জঘন্য কাজ করেছে, দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। অথচ দিব্যি তাদের নামে বহু ভবনের নামকরণ করা হচ্ছে।