কংগ্রেস ৫০-এর বেশি আসন পাবে না: মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী দল কংগ্রেস ৫০-এর বেশি আসন পাবে না। এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল শুক্রবার রাতে মুম্বাইয়ের এক জনসভায় এ কথা বলেন মোদি।

গতকাল রাতে একই মঞ্চে মোদির সঙ্গে ছিলেন শিবসেনার প্রধান উদ্ভব ঠাকরে, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাডনবিশসহ আরও অনেকে। উদ্ভব আক্রমণ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শিবসেনার প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে অভিনেতাদের নিয়ে এসে কলকাতায় নির্বাচনী প্রচার করা হচ্ছে। বাংলাদেশের শিল্পী ফেরদৌস কলকাতায় এসে প্রচার করেছেন। এটা কি ঠিক?’

মুম্বাইয়ের এই সমাবেশে নরেন্দ্র মোদির আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল কংগ্রেস। মোদি জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা আপনাদের ভোট নষ্ট করবেন না। সবচেয়ে ভালো হবে আপনারা সেই পার্টিকে ভোট দিন, যে ক্ষমতায় আসতে চলেছে। আর আপনারা আপনাদের ভোটের মাধ্যমে সেই দলকে আরও শক্তিশালী করুন।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এখন একটা বিষয় দেখার যে ২০১৪-এর তুলনায় এবার বিজেপির আসনসংখ্যা বাড়ে কি না।’

মোদি বলেন, ‘বিরোধীরা ভাবছে নবীন ভোটাররা এবং এ প্রজন্ম কেন মোদিকে সাপোর্ট করে? কারণ মোদি এদের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষাকে উপলব্ধি করতে পেরেছে। এ প্রজন্ম ২০৪৭-কে দেখতে পাচ্ছে। যখন ভারত স্বাধীনতার ১০০ বছর পালন করবে। কিন্তু কিছু মানুষ (বিরোধী নেতা) আছে যারা ২০ শতাব্দীতে আটকে আছে।’ 

কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, ‘মরীচিকার আরেক নাম কংগ্রেস। কংগ্রেস ঘোষণাপত্রে মধ্যবিত্তদের জন্য কিছু উল্লেখ করেনি। ওদের কিছু নেতা মধ্যবিত্তদের লোভী এবং স্বার্থপর বলে অভিহিত করেছে।’ তিনি কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেন, ‘পুলিশকে তারা পাঞ্চিং ব্যাগ হিসেবে ব্যবহার করেছে। ওরা কখনো পুলিশদের তাদের প্রাপ্য মর্যাদা দেয়নি।’
২৬/১১-তে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রসঙ্গ তোলেন মোদি। তিনি বলেন, ‘মুম্বাই পুলিশ যদি সতর্ক না থাকত, তো এই শহরকে আতঙ্কবাদকে ঘিরে অনেক বড় মূল্য দিতে হতো।’ তিনি আরও বলেন, ‘কংগ্রেসের ধারা ছিল আতঙ্কবাদী হামলার পর মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বদলানো। আমরা এই সংস্কৃতি বদলে দিয়েছি। কংগ্রেস সুরক্ষার জন্য কোনো কিছু করেনি। ৩৩ হাজার পুলিশ আমাদের জন্য শহীদ হয়েছে। চৌকিদার সরকার দিল্লিতে পুলিশের মেমোরিয়াল করেছে। যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের সম্মান জানানো উচিত।’