অহংকার ডোবাবে মমতা দিদিকে: মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, অহংকারই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা দিদির পতনের কারণ হবে। বাংলার মানুষ তাঁর অত্যাচারে অতিষ্ঠ। চাইছে না এখন তাঁকে। আর প্রচণ্ড অহংকারে ডুবে আছেন তিনি। ঘূর্ণিঝড় ফণীর ক্ষয়ক্ষতির খবর নিতে দিদিকে দুবার ফোন করলেও তিনি তাঁর অহংকারের কারণে ফোন ধরেননি। দিদির এই অহংকারই তাঁকে ডোবাবে।’

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ার কমলাডাঙ্গায় বিজেপির এক নির্বাচনী জনসভায় মোদি এসব কথা বলেছেন। মোদি বলেন, ‘আজ গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনে এখানে আসতে পেরে গর্বিত। প্রার্থনা করছি, এই দিনে এই বাংলায় শান্তি ফিরে আসুক।’

নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলার ‘স্পিড ব্রেকার’ দিদি বাংলাকে সর্বনাশ করে দিয়েছেন। এখানে গণতন্ত্র নেই। চলছে মাফিয়ারাজ। চাঁদা আর সিন্ডিকেট রাজত্ব। কয়লাখনিতে মাফিয়ারাজের দৌরাত্ম্যে শ্রমিকেরা বেতন পান না। অথচ দিদিকে ঠিকমতো চাঁদা পাঠাচ্ছেন কয়লাখনির মাফিয়ারা। তাই এই বাংলা থেকে এবার এই মাফিয়ারাজ, সিন্ডিকেটরাজ উৎখাত করতে হবে। আর দিদির রাজ্যব্যাপী অত্যাচারের জন্য তাঁকে এই রাজ্যপাট থেকে বিদায় করতে হবে।

মোদি বলেন, পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে বুঝতে পেরে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবোলতাবোল বলছেন। অসহায় দিদি এখন থাপ্পড় মারার কথাও বলছেন। অথচ তিনি এই বাংলার মানুষের কথা ভাবছেন না। দিদির নজর এখন ভাইপো (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) আর চাঁদাবাজদের দিকে। এতটুকু ভাবছেন না বাংলার জনগণের কথা। দিদি যে এখন পরাজয়ের চাপে আছেন, তা তাঁর কথায় ফুটে উঠছে। তাই তো বেফাঁস কথা বলছেন। সরেও যাচ্ছে তাঁর পায়ের তলার মাটি।

কটাক্ষ করে মোদি বলেন, ‘দিদি এখন দেশের প্রধানমন্ত্রীকে মানতে রাজি নন। রাজি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে মানতে। দিদি বুঝতে পারছেন না, তাঁর পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। তাঁর পতনের সময় এসে যাচ্ছে। তাই তো দিদি এখন ভয় পেয়ে আমাকে কটূক্তি করছেন। দিদির অত্যাচারের কথাতো এখন সারা দেশে আলোচনা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, এই দিদি চিটফান্ডে গচ্ছিত গরিব মানুষের জমানো অর্থ লুট করেছেন। বিজেপি ফের ক্ষমতায় এলে চিটফান্ডের এই অর্থ আত্মসাৎকারীদের বিচার হবে। বাংলায় দিদির গুন্ডারাজের অবসান হবে। তাই মোদি এবার ফের বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য পদ্মফুলে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান।

বাঁকুড়ার জনসভা সেরে নরেন্দ্র মোদি পুরুলিয়ায় যান। সেখানে একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন।