সামনের চাকা ছাড়াই উড়োজাহাজের অবতরণ

মান্দালয় বিমানবন্দরে এভাবে মুখ থুবড়ে উড়োজাহাজটি নিরাপদে অবতরণ করে। ছবি: রয়টার্স
মান্দালয় বিমানবন্দরে এভাবে মুখ থুবড়ে উড়োজাহাজটি নিরাপদে অবতরণ করে। ছবি: রয়টার্স

ল্যান্ডিং গিয়ার কাজ করছিল না। তা সত্ত্বেও সামনের চাকা ছাড়াই পাইলট উড়োজাহাজটি নিরাপদে অবতরণ করালেন। মিয়ানমারের মান্দালয় বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় গতকাল রোববার এ ঘটনা ঘটে।

মিয়ানমার ন্যাশনাল এয়ারলাইনসের ওই উড়োজাহাজ ইয়াঙ্গুন থেকে মান্দালয়ের দিকে যাচ্ছিল। এমব্রায়ে ১৯০–এর পাইলট ক্যাপ্টেন মিয়াত মোয়ে উড়োজাহাজটি নিরাপদে অবতরণ করানোয় প্রশংসিত হয়েছেন। উড়োজাহাজের ৮৯ জন যাত্রীর কেউ আহত হননি।

মিয়ানমার এয়ারলাইনস বলছে, মান্দালয় রানওয়েতে অবতরণের সময় পাইলট উড়োজাহাজের সামনের ল্যান্ডিং গিয়ার খুলতে ব্যর্থ হন। নিশ্চিত হওয়ার জন্য তিনি বিমানবন্দরের ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের সামনে দিয়ে দুবার উড়ে যান। পাইলট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য উড়োজাহাজের সব জ্বালানি ব্যবহার করেন। এতে উড়োজাহাজের ওজন কমে যায়।

যাত্রীরা নিরাপদে নেমে আসছেন। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
যাত্রীরা নিরাপদে নেমে আসছেন। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, উড়োজাহাজটির সামনের অংশ মাটিতে ঘষতে ঘষতে যাচ্ছে। থামার আগে ২৫ সেকেন্ড ধরে উড়োজাহাজটি এভাবে ঘষতে ঘষতে যায়।

মিয়ানমারের পর্যটনমন্ত্রী উইন খান্ত রয়টার্সকে বলেন, পাইলট দারুণ কাজ করেছেন।

এ সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো মিয়ানমারে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা ঘটল। গত বুধবার ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে খারাপ আবহাওয়ায় অবতরণের সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এখনো কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।