ভারতে ভোট গণনা শুরু

ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার ৫৪৩ আসনের ভোট গণনা স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছে। 

বেলা ১১টার মধ্যেই জানা যাবে ফলাফলের গতিপ্রকৃতি। গত ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে সাত দফায় অনুষ্ঠিত হয়েছে এই নির্বাচন।

সাত দফার নির্বাচনের শেষ দিন ১৯ মে বুথফেরত জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। প্রায় সব জরিপে বলা হয়, ক্ষমতায় থাকছে বিজেপি। আবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। বুথফেরত জরিপের পর উজ্জীবিত বিজেপি। বিজয় উৎসব করার জন্য প্রস্তুত বিজেপির কেন্দ্রীয় দপ্তর। সামনে বিশাল শামিয়ানা টাঙিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল। এসেছে সেখানে লাড্ডু, মিষ্টি, কেক, আতশবাজি। বিজয় মিছিলের প্রস্তুতও সম্পন্ন।


গতকাল বুধবার বিরোধী কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, বুথফেরত সমীক্ষা ভুয়া। ক্ষমতায় যেতে পারবে না মোদি। সংসদ হতে পারে ঝুলন্ত। এই সম্ভাবনাকে সম্পদ করে বিরোধীরা ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর জন্য একটি চিঠি প্রস্তুত করে রেখেছে। ওই চিঠিতে বলা হবে, কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে দেশের আসনসংখ্যায় গরিষ্ঠ দলকে রাষ্ট্রপতি যেন সরকার গড়তে না ডাকেন।


আজ সকালে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় দপ্তরেও আয়োজন করা হয়েছে যজ্ঞের। এখানেও আনা হয়েছে ব্যান্ড পার্টি। মোট কথা, দুই দলই প্রস্তুত বিজয় উৎসবের জন্য।

আজ সকালে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনেরও ভোট গণনা শুরু হয়েছে। ভোট গণনাকেন্দ্রে থাকছে ত্রিস্তর নিরাপত্তাব্যবস্থা। থাকছে ৮২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। আরও থাকছে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ। গণনাকেন্দ্রে রয়েছেন ১৫৫ জন পর্যবেক্ষক। ৪২টি লোকসভার জন্য গণনাকেন্দ্র রয়েছে ৫৮টি। গণনাকেন্দ্রে গণনার জন্য রয়েছে ৩৭৯টি হল। আর এসব হলে ভোট গণনার জন্য রয়েছে ৪ হাজার ৬৬৮টি টেবিল। গণনাকেন্দ্রে রয়েছে সিসি টিভির ব্যবস্থা। পোস্টাল ব্যালট দিয়ে শুরু হয়েছে গণনার কাজ। ভোট গণনার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন প্রায় ২৫ হাজার ভোটকর্মী। রয়েছে গণনাকেন্দ্রে ৮২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ ২৫ রাউন্ড পর্যন্ত গণনা হবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি মানছেন না বুথফেরত জরিপ। ওই সমীক্ষা ভুয়া। এবার ক্ষমতায় যেতে পারবেন না মোদি। দিল্লিতে জনগণের সরকার তৈরি হবে।

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের ও বিজেপির টিকিটে দাঁড়ানো ছয় অভিনেতা-অভিনেত্রী এখন জয়ের প্রহর গুনছেন। এঁরা হলেন আসানসোলে তৃণমূলের মুনমুন সেন, হুগলিতে বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়, বীরভূমে তৃণমূলের শতাব্দী রায়, বসিরহাটে তৃণমূলের নুসরাত জাহান, যাদবপুরে তৃণমূলের মিমি চক্রবর্তী আর ঘাটালে তৃণমূলের অভিনেতা দেব।


সুচিত্রাতনয়া মুনমুন সেন জিতছেন—এই ভাবনায় তিনি ইতিমধ্যে পরনের জন্য বেশ কটি শাড়ি কিনে রেখেছেন। বলেছেন, ‘সবাই বলছেন আমি জিতছি। তাই বেশ কটি শাড়ি কিনে রেখেছি।’