করোনাভাইরাস আরও ১১৪ জনের প্রাণ কেড়েছে

চীনে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে চেষ্টা চালাচ্ছেস স্বাস্থ্যকর্মীরা। ছবি: রয়টার্স
চীনে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে চেষ্টা চালাচ্ছেস স্বাস্থ্যকর্মীরা। ছবি: রয়টার্স

চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল বুধবার আরও ১১৪ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে গতকাল পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত মানুষের সংখ্যা ২ হাজার ১১৮–তে পৌঁছেছে। আজ বৃহস্পতিবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এ তথ্য জানিয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০৮ জন করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হিসেবে পরিচিত হুবেই প্রদেশের। আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বলছে, নতুন করে গতকাল ৩৯৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী নিশ্চিত করা গেছে। তবে তা আগের দিনের চেয়ে কম। গত মঙ্গলবার ১ হাজার ৭৪৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত করা হয়েছে। এ মাসের মধ্যে গতকালই সবচেয়ে কমসংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছে।

নতুন করে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে হুবেই প্রদেশেরই ৩৪৯ জন। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ৫৭৬।

এর মধ্যে ইরানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এটাই মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম করোনাভাইরাসে মৃত্যুর ঘটনা।

আজ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে ৩১ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২।

সিঙ্গাপুরে কোভিড–১৯ রোগে আক্রান্ত বাংলাদেশি কর্মীর অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। ১২ দিন ধরে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজের (এনসিআইডি) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে তিনি চিকিৎসাধীন। চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আগে ৩৯ বছর বয়সী এই বাংলাদেশি নাগরিকের ফুসফুসে জটিল প্রদাহ ছিল।

গতকাল বিকেলে সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, বাংলাদেশের পাঁচ নাগরিকের মধ্যে প্রথমে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তির অবস্থা সংকটাপন্ন। তবে তাঁকে সুস্থ করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

গত ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে ২৯ দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। মারা গেছে ছয়জন। আক্রান্তের তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে ইরান।