পশ্চিমবঙ্গে ড্রোন দিয়ে লকডাউন নজরদারি

পশ্চিমবঙ্গে ড্রোন দিয়ে ঘোষিত লকডাউন-নজরদারি শুরু হয়েছে। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
পশ্চিমবঙ্গে ড্রোন দিয়ে ঘোষিত লকডাউন-নজরদারি শুরু হয়েছে। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ড্রোন দিয়ে লকডাউনের নজরদারি শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এই ড্রোনই রাজ্যের অলিগলিতে উড়ে ছবি তুলে খবর দিচ্ছে কোথায় লকডাউনের মধ্যে জটলা হচ্ছে, জমায়েত হচ্ছে, লকডাউন ভেঙে মানুষ পথে নেমেছে। এর আগে ভারতের অন্য রাজ্য, যেমন: গুজরাট, বেঙ্গালুরু, কেরালায় লকডাউন দেখতে আকাশে ওড়ানো হয় ড্রোন।

পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন চললেও মাঝেমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে তা অমান্যের অভিযোগ আসছে। আর এর পরিপ্রেক্ষিতেই ড্রোন ওড়ানোর এ সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র।

গতকাল সোমবার এই ড্রোন ওড়ানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর আর দাঁতনের আকাশে। এই দাসপুর এবং দাঁতনকে করোনাভাইরাসের স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। ড্রোনের ক্যামেরায় ধরাও পড়ে লকডাউন অমান্যের কিছু ছবি। এরপরই পুলিশ গ্রেপ্তার করে ছয়জনকে। আর জব্দ করে তিনটি মোটরসাইকেল। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এই দুটি এলাকায় মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, এই এলাকার অবরুদ্ধ বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ড্রোন দিয়ে লকডাউন পর্যবেক্ষণ করছেন পুলিশের দুই সদস্য। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
ড্রোন দিয়ে লকডাউন পর্যবেক্ষণ করছেন পুলিশের দুই সদস্য। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

রাজ্য প্রশাসন পূর্ব মেদিনীপুরজুড়ে ড্রোনের মাধ্যমে তল্লাশি চালিয়েছে। চালানো হয়েছে মেদিনীপুর জেলা শহরেও। আরও চালানো হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক ও হলদিয়া বন্দরেও। হলদিয়াও পশ্চিমবঙ্গের করোনার স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এখন পশ্চিমবঙ্গজুড়ে চলছে লকডাউন। গত ২৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকে শুরু হয়েছে তিন সপ্তাহের এই লকডাউন। আজ মঙ্গলবার সেই লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গত শনিবার বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত এক বৈঠকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর দাবি তুলেছিল। সেই লক্ষ্যে শনিবার সন্ধ্যায়ই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের লকডাউনের মেয়াদ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন।