অ্যাসাঞ্জের বন্দিত্বের চার বছর

সেন্ট্রাল লন্ডনের এই ভবনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে চার বছর ধরে বন্দী জীবন যাপন করছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ছবি: এএফপি
সেন্ট্রাল লন্ডনের এই ভবনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে চার বছর ধরে বন্দী জীবন যাপন করছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ছবি: এএফপি

১৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৩ ফুট প্রস্থের ঘর। মাঝখানে দেয়াল দিয়ে বানানো হয়েছে দুটো কামরা। এর একটিতে ‘অফিস করেন’ এবং অন্যটিতে ঘুমান উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। সঙ্গী বলতে কেউ নেই। একাকিত্ব দূর করতে গত মে মাসে তাঁকে দেওয়া হয়েছে একটি বিড়াল।

আজ রোববার মিলানে একটি ফ্যাশন শোতে জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হয় অ্যাসাঞ্জকে। সঙ্গে তাঁর একমাত্র সঙ্গী বিড়াল। ছবি: এএফপি
আজ রোববার মিলানে একটি ফ্যাশন শোতে জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হয় অ্যাসাঞ্জকে। সঙ্গে তাঁর একমাত্র সঙ্গী বিড়াল। ছবি: এএফপি

লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে এই স্বেচ্ছাবন্দী জীবনের চার বছর পূর্ণ করে আজ রোববার পঞ্চম বছরে পা রাখলেন অ্যাসাঞ্জ। এ উপলক্ষে ইউরোপের বিভিন্ন শহরে অ্যাসাঞ্জের সমর্থকেরা আজ বক্তৃতা, গান, আবৃত্তি ইত্যাদির আয়োজন করেন। সেখানে তাঁদের অ্যাসাঞ্জের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করার কথা।
রোববারের ওই অনুষ্ঠানে নোয়াম চমস্কি থেকে শুরু করে শ্যাটি স্মিথ, ব্রায়ান ইনো, পিজে হার্ভে, ইয়ানিস ভারোফাকিস, মাইকেল মুর, কেন লোচ ও ভিভিয়ান ওয়েস্টউডের মতো বুদ্ধিজীবীরা একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

সেন্ট্রাল লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসের ব্যালকনিতে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে সেখান থেকে মিডিয়ার সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। ছবি: এএফপি
সেন্ট্রাল লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসের ব্যালকনিতে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে সেখান থেকে মিডিয়ার সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। ছবি: এএফপি

অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বহু অতিগোপনীয় নথি ফাঁস করে দিয়ে ঝড় তোলেন। এর কিছুদিন পর সুইডেনে তাঁর বিরুদ্ধে এক নারী ধর্ষণের মামলা করেন। ওই মামলায় বিচারের জন্য যুক্তরাজ্য সরকার ২০১০ সালে তাঁকে সুইডেনের কাছে হস্তান্তর করতে যাচ্ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেন অ্যাসাঞ্জ।
অ্যাসাঞ্জের আশঙ্কা, সুইডেনে পাঠানো হলে সেখান থেকে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এবং নথি ফাঁস করার জন্য সেখানে তাঁর বিচার হবে।