ঈদে জুতার প্রতি আকর্ষণটা বেশি

ঈদের স্টাইলে জুতা বেশি গুরুত্ব পায় নাবিলার কাছে, সঙ্গে হালকা রঙের পোশাক। ছবি: খালেদ সরকার, কৃতজ্ঞতা: কে ক্র্যাফট ও হারমনি স্পা
ঈদের স্টাইলে জুতা বেশি গুরুত্ব পায় নাবিলার কাছে, সঙ্গে হালকা রঙের পোশাক। ছবি: খালেদ সরকার, কৃতজ্ঞতা: কে ক্র্যাফট ও হারমনি স্পা

‘ঈদে সবাই যখন নতুন পোশাক কেনায় ব্যস্ত থাকে, তখন দোকানে নতুন কী জুতা এল, তা দেখতেই বেশি ভালো লাগে। জুতার প্রতি আকর্ষণটা আমার বরাবরই একটু বেশি।’ আয়নাবাজির নায়িকা মাসুমা রহমান নাবিলা এ কথা বললেন ঈদের সাজপোশাক নিয়ে।
কোনো বিদেশি ব্র্যান্ডের জুতা নয়, দেশীয় নকশার দেশে তৈরি জুতা নাবিলার পছন্দ। ‘নগরদোলায় দেখলাম বেশ কিছু ভালো নকশার জুতা এসেছে। ভাবছি ঈদের জুতাটা ওখান থেকেই কিনব।’ বললেন নাবিলা। ঈদের আগের সময়টায় কাজের খুব ব্যস্ততা থাকে নাবিলার। বরাবর তাই ঈদের কেনাকাটাটা চাঁদরাতেই করে থাকেন। শুধু নিজের জন্যই নয়, পরিবারের সবার উপহারটা নিজেই পছন্দ করে কেনেন। ‘সাধারণত সবাইকে পোশাকটা উপহার দিই। আর আমার দেওয়া পোশাকটা যখন কেউ ঈদে পরে, তখন ঈদের আনন্দটা যেন আরও বেড়ে যায়। তবে আফসোস এখন আর নিজে তেমন একটা উপহার পাই না।’
সব সময়ই ছিমছাম সাজে দেখা যায় নাবিলাকে। ঈদের দিনও তা-ই। একরঙা পোশাক পছন্দ নাবিলার। সাদা, চাপা সাদা, মিষ্টি গোলাপির মতো হালকা মিষ্টি রং পছন্দ। কাপড়ের বেলায়ও আরাম দেয় এমন পোশাকই বেছে নেন। গয়নাটা সাধারণত পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কেনেন।

.
.

‘এবার যে ধরনের পোশাক পরব তার সঙ্গে মনে হচ্ছে মুক্তার গয়না বেশি মানাবে।’ বললেন নাবিলা। পোশাকের মতো সাজগোজের ব্যাপারেও নাবিলা সাধারণ থাকতেই পছন্দ করেন। ঈদের আগের দিন পারলারে গিয়ে সেরে নেন টুকটাক রূপচর্চার কাজ। ঈদের দিন সকালে বাড়িতেই থাকেন। এই দিনে হাতে কোনো বাইরের কাজ রাখেন না। সকাল-সকাল ঈদের পোশাক পরে হালকা সাজে চলতে থাকে নাবিলার অতিথি আপ্যায়ন। বিকেলের দিকে বেড়াতে গেলে ঠোঁটের লিপস্টিকটা শুধু গাঢ় হয়ে যায়। ব্যস, এটুকুতেই ঘুরে ঘুরে বেড়ানো হয় বন্ধুদের বাড়ি।
বিপাশা রায়