বর্ষায় রান্নাঘরে যা মজুত রাখবেন

গ্রিন টি, মধু, ঘৃতকুমারী, জলপাই তেল, রসুন।
গ্রিন টি, মধু, ঘৃতকুমারী, জলপাই তেল, রসুন।

মেঘে ঢাকা আকাশ। কোথাও কোথাও সারা দিন বৃষ্টি। এমন দিনে অনেকে বাইরে বের হতে পারেন না। বাজারে যাওয়া মুশকিল। ঠান্ডা, সর্দির মতো সমস্যা তো আছেই। শরীর সুস্থ রাখতে তাই এ সময় পুষ্টিকর খাবার জরুরি। বর্ষায় আপনার রান্নাঘরে কিছু প্রয়োজনীয় দ্রব্য অবশ্যই রাখবেন। ফলের মধ্যে ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফলমূল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যাঁরা বর্ষায় সুস্থ থাকতে চান, তাঁদের এ সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে কয়েকটি খাবার জরুরি। রান্নাঘরে রাখার উপযোগী কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জেনে নিন:

সবুজ চা: বাইরে যখন বৃষ্টি, তখন ঘরের মধ্যে গরম এক কাপ চা উষ্ণতা জোগাবে। সারা দিন শরীর সতেজ রাখতে এক কাপ গ্রিন টি বা সবুজ চা দারুণ কাজ করে। এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরকে বিষমুক্ত করতে পারে গ্রিন টি। হজমে সহায়ক। বর্ষার সময় রান্নাঘরে তাই গ্রিন টি রাখতে পারেন।

মধু: বর্ষায় প্রায় সর্দি-কাশির সমস্যা হয়। গলাব্যথাও বড় সমস্যা। সুমিষ্ট মধুর রয়েছে অনেক গুণ। কাশির সমস্যা থেকে শুরু করে জখম শুকাতে বা সংক্রমণ ঠেকাতে—সবকিছুতে মধুর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু মধুর আরেকটি জাদুকরি গুণ রয়েছে। তা হচ্ছে, মধুতে ওজন কমানোর শক্তিশালী উপাদান রয়েছে। মধুর অন্য উপকারিতার মধ্যে রয়েছে এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী উপাদানে পূর্ণ, যা হজমশক্তি বাড়ায়। স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এবং ক্যানসার, হৃদ্‌রোগের মতো জটিল রোগের ক্ষেত্রেও মধু উপকারী। বর্ষায় তাই রান্নাঘরে মধু জমা রাখতে পারেন।

ঘৃতকুমারী: অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর রয়েছে নানা ভেষজ গুণ। পাঁচ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে তা এ অঞ্চলের মানুষের জানা। শরীরে নানা প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দিতে আর অসুখ-বিসুখ সারিয়ে তুলতে ঘৃতকুমারী অতুলনীয়। এটি নানা ধরনের ভিটামিন ও খনিজের এক সমৃদ্ধ উৎস। ঘৃতকুমারী দেহের অভ্যন্তরীণ পদ্ধতির সঙ্গে মিশে গিয়ে প্রতিরোধব্যবস্থাকে আরও সক্রিয় করে তোলে এবং দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে। বর্ষায় তাই ঘরে রাখতে পারেন ঘৃতকুমারী।

জলপাই তেল: যাঁদের কোলস্টেরলের মাত্রাটা বেশি, তাঁদের জন্য জলপাই তেলের কোনো বিকল্প নেই। এ তেলের রান্না যেমন ভালো, ত্বকে এর ব্যবহারও উপকারী। জলপাইয়ের তেলে ওমেগা-৩, ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকায় এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক কার্যকর।

রসুন: অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল আর অ্যান্টিভাইরাল গুণে সমৃদ্ধ রসুন। তাই ভাইরাসজনিত জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদির প্রকোপ কমাতে সহায়তা করে। এ ছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধের সক্ষমতাও বাড়ায় রসুন। রান্নাঘরে বর্ষায় রসুনের ঘাটতি যেন না হয়। তথ্যসূত্র: ইকোনমিকটাইমস