মুখের ক্যানসার

নারী-পুরুষ উভয়ই মুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন। সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিরা (৫০ বছর এবং পঞ্চাশোর্ধ্ব) এ রোগের শিকার হন। তবে কম বয়সীদের সংখ্যাও কম নয়।

ঠোঁট, গালের ভেতরের পর্দা, দাঁতের মাড়ি, জিহ্বা ও জিহ্বাসংলগ্ন মুখের অংশ, মুখের তালু, মুখ ও মুখগহ্বরের প্রতিটি অঙ্গই ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন কোনো উপসর্গ থাকে না। প্রথম দিকে ছোট একটি বিন্দু আকারের ঘা বা একটি ছোট পিণ্ডর মতো হতে পারে। ধীরে ধীরে এর আকার বাড়তে থাকে।

দীর্ঘদিন বিভিন্ন কার্সিনোজেনের (ক্যানসারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান) প্রভাবে এ ধরনের ক্যানসার হয়। মুখের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের শতকরা ৯০ জনেরই তামাক সেবনের ইতিহাস থাকে। যেমন বিড়ি, সিগারেট, পাইপ, সিগার, পান, জর্দা, সাদাপাতা।

অপরিষ্কার, অপরিচ্ছন্ন, রোগাক্রান্ত মুখগহ্বর ক্যানসারের একটি বড় কারণ। অনেকে মুখের দুর্গন্ধ কমাতে পানের সঙ্গে বিভিন্ন সুগন্ধিযুক্ত জর্দা সেবন করেন। ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে অনেকে দাঁতের মাড়ি শক্ত করার জন্য দাঁতের গোড়ায় তামাক পাতার গুঁড়া বা গুল ব্যবহার করেন।

মুখের ক্যানসার প্রতিরোধ

* ধূমপান, পান, জর্দা, সাদাপাতা, গুল ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করুন। অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকুন।

* মুখ ও মুখগহ্বর নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।

* নিয়মিত দাঁতের যত্ন নিন।

* গালে বা জিহ্বায় ধারালো দাঁতের খোঁচা অনুভব হলে দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

* মুখ ও মুখগহ্বর নিজে আয়না দিয়ে পরীক্ষা করতে শিখতে হবে এবং মাসে একবার পরীক্ষা করতে হবে।

* বছরে অন্তত একবার দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মুখ ও মুখগহ্বর পরীক্ষা করাতে হবে।

* সুষম খাবারের অভ্যাস করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণ ফলমূল, শাকসবজি ও আঁশ জাতীয় খাবার খান। এতে শরীরের ভিটামিন, আয়রন ও অন্যান্য পুষ্টির অভাব পূরণ হবে।

ডা. পারভীন শাহিদা আখতার