ওজন কমাতে খাদ্যাভ্যাস

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবার খেতে হবে বুঝেশুনে। ছবি: অধুনা
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবার খেতে হবে বুঝেশুনে। ছবি: অধুনা

ওজন নিয়ন্ত্রণে নেই, এমন মানুষগুলোকে প্রায়ই পড়তে হয় নানা ধরনের বুদ্ধি-পরামর্শের মধ্যে। আপনি হয়তো ঠিক ক্যালরি মেপে খাচ্ছেন, নিয়মিত পরিশ্রম করছেন, কিন্তু ওজন কমছে না।

তাই ওজন কমাতে চাইলে এগোতে হবে একটু হিসাব করেই আর তাতে প্রয়োজন হবে ধৈর্য। অনেক দিনে তৈরি হওয়া বাড়তি ওজন দুই দিনেই কমে যাবে না এই ধারণা নিয়েই চলতে হয় লক্ষ্যের দিকে। ওজন কমানো কিন্তু একেবারে কঠিন কিছু নয়। কিছু নিয়ম মেনে চলা, একটু হিসাব করা আর কিছু ভালো খাদ্যাভ্যাস তৈরি করা। ব্যস, হয়ে গেল।

প্রোটিনযুক্ত নাশতা

সকালে প্রোটিনযুক্ত খাবার সারা দিন খাবারের চাহিদা কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে সারা দিন কাজ করার শক্তি তৈরি হয়। তাতে একদিকে যেমন অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণে আগ্রহ কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে সারা দিন কাজ করার ফলে ক্যালরি খরচও হচ্ছে।

চিনিমুক্ত খাবার ও জুস

চিনি বা মিষ্টি শরীরের অন্যতম ক্ষতিকর খাবার। ওজন কমাতে চাইলে আপনাকে সবার আগে চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে। ঘরে তৈরি জুস, অল্প একটু চিনি মিশিয়ে খেয়েছি—এসব অজুহাত থেকেও বের হতে হবে। কারণ, চিনিই আছে আপনার ওজন না কমার মূলে।

খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পানি

ওজন কমাতে চাইলে দিনে অন্তত তিনবার ভরপেট খেতে হবে। ভরপেট খাওয়া কিন্তু শুধু ভাত খাওয়া নয়। এই খাবারে শর্করা, আমিষ, খনিজ, সবজি সব থাকতে হবে। সঙ্গে সালাদও খেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, ভরপেট খাওয়ার এই তিন বেলাতেই খাওয়ার আগে পানি খেতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার খাওয়ার আগে যাঁরা পানি খাচ্ছেন, তাঁরা তিন মাসে ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত ওজন কমাতে সক্ষম।

আঁশযুক্ত খাবার

আঁশযুক্ত খাবার চর্বি ভাঙতে সহায়তা করে। যেসব খাবারে ফাইবার আছে, সেসব খাবার পেটের দিকের মেদ কমায়।

চা-কফি খান

অবাক হচ্ছেন? চা-কফি খেলে ওজন কীভাবে কমবে? বিশেষজ্ঞরা বলেন, আপনি যদি কফি খেতে পছন্দ করেন, তাহলে চিনি ছাড়া কফি বেছে নিন। কফি আপনার মেটাবলিজম বাড়াতে পারে ৩-১১ শতাংশ পর্যন্ত।

পরিশোধিত খাবার এড়িয়ে চলুন

খুব বেশি পরিশোধিত খাবার এড়িয়ে চলুন। যেমন প্রোটিনের জন্য ছানা না খেয়ে দুধ খান। ফল জুস করে না খেয়ে গোটা ফলটাই খেয়ে নিন। অনেকে খুব দ্রুত বা খুব ধীরে খাবার খায়। খাবার খেতে হবে একটু ধীরে, তবে সেটা যেন কিছুতেই কিছু দেখতে দেখতে খাওয়া না হয়।

ছোট প্লেটে খান

আপনি যদি খুব বড় প্লেটে খাবার সাজান, তাহলে কিছুই তো খেলাম না আরেকটু খাই ধরনের ব্যাপার কাজ করতে পারে। তাই খাবার খেতে হবে ছোট প্লেটে।

খাবারের অভ্যাসের সঙ্গে তৈরি করতে হবে ঘুমের অভ্যাসও। অল্প ঘুম বা ঘুমের সমস্যা ওজন বাড়াতে পারে। তাই ওজন কমাতে অন্তত সাড়ে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি। ঘুমের সময় মুঠোফোন, ট্যাব, ল্যাপটপের মতো ইলেকট্রনিক যন্ত্র দূরে রাখতে চেষ্টা করুন।