যে খাবারে জন্মের মেয়াদ

ঘরে পড়ে আছে কোনো খাবার। কোনো কারণে খাওয়া হয়নি। তারপর যখন খেতে গেলেন, দেখেন যে মেয়াদ নেই। কী করবেন তখন? কাজ তো একটাই—ফেলে দেওয়া। কিন্তু এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলোর মেয়াদ সহজে ফুরায় না। অনেক দিন পরও এসব খাবার খাওয়া যায়। এমন ছয়টি খাবার হলো:

মধু অনেক দিন ঘরে রেখে দেওয়া যায়।
মধু অনেক দিন ঘরে রেখে দেওয়া যায়।

মধু: মধু অনেক দিন ঘরে রেখে দেওয়া যায়। এর মেয়াদ শেষ হওয়ার কোনো বিষয় নেই। কিছুদিন যাওয়ার পর এটি জমে যেতে পারে, তবে এর গুণাগুণের ওপর কোনো প্রভাব পড়ে না। কৌটার মুখ খুলে রেখে দিলে শক্ত হয়ে যাওয়া মধু নরম হয়ে যায়। আবার গরম পানিতেও মধু ঠিক করে নেওয়া যায়।

সাদা চালের মেয়াদের কোনো সীমা নেই।
সাদা চালের মেয়াদের কোনো সীমা নেই।

সাদা চাল: ঢেঁকিছাঁটা চালের মেয়াদ একসময় ফুরালেও সাদা চালের মেয়াদের কোনো সীমা নেই। ব্যাগ বা ড্রামে দীর্ঘ দিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়। এমনকি মাসের পর মাস খোলা জায়গায় রেখে দিলেও এটি খাওয়া যায়। বাসমতী বা এ ধরনের চাল বায়ুরোধী কনটেইনারে রেখে দিলে অনেক দিন ভালো থাকে।

লবণ বছরের পর বছর ভালো থাকে।
লবণ বছরের পর বছর ভালো থাকে।

লবণ: খাওয়ার লবণ বছরের পর বছর ভালো থাকে। নির্দিষ্ট কোনো মেয়াদ নেই।

শুকনো শিমের বিচির গুণাগুণ অনেক দিন ঠিক থাকে।
শুকনো শিমের বিচির গুণাগুণ অনেক দিন ঠিক থাকে।

শুকনো শিমের বিচি: এগুলো কখনো নষ্ট হয় না। অনেক দিন রেখে দিলে শক্ত হয়ে যায়, তবে এতে এর খাদ্যগুণ নষ্ট হয় না। এমনকি শক্ত শিমের বিচি রান্নায় গলতে সময় নিলেও বা না গললেও এর খাদ্যগুণ ঠিক থাকে।

ইনস্ট্যান্ট কফি ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হয়।
ইনস্ট্যান্ট কফি ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হয়।

ইনস্ট্যান্ট কফি: এটি সারা জীবন ঠিক রাখতে চাইলে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায়। কৌটার মুখ বন্ধ করে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিলে এটি সহজে নষ্ট হয় না। গুণাগুণ অটুট থাকে। সূত্র: এনডিটিভি অনলাইন।