মেয়ের পছন্দ বীজগণিত, মায়ের পাটিগণিত

মায়ের সঙ্গে পুষ্পিতা। ছবি: খালেদ সরকার
মায়ের সঙ্গে পুষ্পিতা। ছবি: খালেদ সরকার
>সুবহা নাওয়ার পুষ্পিতা, চলতি বছরের গণিত উৎসবে সারা দেশের মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। মেয়েদের মধ্যে সেরা হয়ে পেয়েছে ‘লুৎফর রহমান স্মৃতি গণিত পুরস্কার’। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষা দেবে পুষ্পিতা। তার মা জেসমিন রোজি গৃহিণী। আজ থাকছে এই দুই প্রজন্মের পছন্দ-অপছন্দের কথা।


১. গণিতের কোন বিষয়টা ভালো লাগে?
পুষ্পিতা: বীজগণিত ও সংখ্যাতত্ত্ব। 
মা: পাটিগণিত। 
২. গণিতের কোন বিষয়টা কঠিন মনে হয়?
পুষ্পিতা: গণিতে আমার সবকিছুই ভালো লাগে। প্রতিটা বিষয় দক্ষতার পার্থক্য থাকলেও সব ভালো।
মা: বীজগণিত আমার কাছে কঠিন লাগত।
৩. প্রিয় শিক্ষক?
পুষ্পিতা: ভিকারুননিসা স্কুলের মো. মহসিন তালুকদার, আর স্কুলের বাইরে মোহাম্মাদ কায়কোবাদ।
মা: প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক তোফাজ্জেল স্যার এবং হাইস্কুলের নার্গিস ম্যাডামকে খুব ভালো লাগত।
৪. কোন ধরনের বই পড়তে ভালো লাগে?
পুষ্পিতা: যেকোনো গণিতের বই। তবে প্রিয় বই আলেক্সান্ডার বেলায়েভের উভচর মানুষ।
মা: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বই।
৫. প্রিয় লেখক?
পুষ্পিতা: সত্যজিৎ রায়।
মা: হুমায়ূন আহমেদ, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
৬. প্রিয় সিনেমা?
পুষ্পিতা: অ্যানিমেটেড সিনেমা মোয়ানা।
মা: আয়নাবাজি।
৭. কী খাবার খেতে ভালো লাগে?
পুষ্পিতা: মায়ের হাতে যেকোনো খাবার।
মা: ভাজাপোড়া খাবার।
৮. বেড়ানোর জন্য প্রিয় জায়গা?
পুষ্পিতা: আমি চীনের মহাপ্রাচীর দেখেছি। এটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
মা: কক্সবাজার ও সিলেট।
৯. প্রিয় পোশাক?
পুষ্পিতা: সালোয়ার-কামিজ।
মা: শাড়ি।
১০. প্রিয় রং?
পুষ্পিতা: সাদা-কালো।
মা: কালো আর হালকা গোলাপি।
১১. প্রিয় ফুল?
পুষ্পিতা: গ্লাডিয়াস ফুল।
মা: গোলাপ।
১২. প্রিয় খেলোয়াড়?
পুষ্পিতা: বক্সার মেরি কম।
মা: ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
১৩. অবসরে কী করেন?
পুষ্পিতা: অবসরে গণিত ও বিজ্ঞানের সমস্যা সমাধান করি। নতুন নতুন সমস্যা তৈরি করি।
মা: অবসরে চিন্তা করি ছেলেমেয়েদের কী লাগবে।
১৪. পরস্পরের যা ভালো ও খারাপ লাগে?
পুষ্পিতা: মা আমাদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। মায়ের কোনো ভুল এখন পর্যন্ত আমার চোখে ধরা পড়েনি। খুবই যত্নশীল।
মা: ওর কোনো খারাপ দিন আমার চোখে পড়েনি। খুবই নীতিমান, সত্য কথা বলে। কিন্তু মাঝেমধ্যে বইপত্র তেমন গুছিয়ে রাখে না।

সাক্ষাৎকার: তারিকুর রহমান খান