কাজে লাগে তো বটেই, ঘরের সাজেও ঝুড়ি আনতে পারে অন্য মাত্রা। কেননা আজকাল নানা আকারের, নানা নকশার ঝুড়ি পাওয়া যাচ্ছে।
প্রাকৃতিক ও দেশীয় উপাদান, অর্থাৎ বাঁশ, বেত, পাট, হোগলা ইত্যাদি ব্যবহার করে ঝুড়ি তৈরির ইতিহাস বেশ পুরোনো। তবে একঘেয়েমি এখনো তৈরি হয়নি। কারণ, এই ঝুড়িগুলো নিত্যনতুন রূপে আসছে বাজারে।
বাঁশ ও বেতের ঝুড়িগুলোর নানা রকম ব্যবহার দেখা যায়। সাধারণ বেতের ঝুড়ি দেখতে বেশ আকর্ষণীয়। অন্দরসজ্জায় গাছের টব হিসেবেও ব্যবহার করা হয় এগুলো। ফলমূল রাখতে অনেকের কাছেই আছে বেতের ঝুড়ির কদর।
নতুন বাংলা বছরের উপহারে বেতের ঝুড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে। নিমন্ত্রণে যেতে মিষ্টি, ফুল, ফল বা চকলেট সাজিয়ে নিতে পারেন এসব ঝুড়িতে। একইভাবে অতিথি-আপ্যায়নেও ব্যবহার করতে পারেন বেতের ঝুড়ি।
নতুনত্ব আনতে ঝুড়িতে লাগিয়ে নিতে পারেন রঙিন ফিতা। ঝুড়ির এক পাশে বো আটকে দেওয়া যায়। চওড়া ফিতা বা লেইস দিয়ে ঝুড়ির কিনারা পেঁচিয়ে নিতে পারেন। একটু সৌন্দর্য বাড়াতে শুকনো বা কৃত্রিম ফুল যোগ করা যায়। বেতের ঝুড়ির স্থায়িত্ব বাড়াতে রং করে নিতে পারেন।
ফল রাখার পাশাপাশি রুটি পরিবেশনের জন্যও বাঁশ বা বেতের ঝুড়ির ব্যবহার দেখা যায়। বিভিন্ন দোকানে কাপড় লাগানো ঝুড়ি কিনতে পাওয়া যায়। চাইলে বাড়িতেও কাজটি করতে পারেন।
এ ছাড়া ঘরের ভেতরে ময়লা ফেলতে, অর্থাৎ ডাস্টবিন হিসেবে রাখতে পারেন সুদৃশ্য বেতের ঝুড়ি। ড্রেসিং টেবিল বা আলমিরার ওপরের জিনিসপত্র রাখতে পারেন ঝুড়িতে। দরকারের সময় খুঁজে পেতে সহজ হয়। এসব ঝুড়ি ব্যবহার দেশীয় ঐতিহ্য রক্ষার সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশবান্ধবও বটে।
কোথায় পাবেন ঝুড়ি
রাজধানীর নিউ মার্কেট, মৌচাক, ডিএনসিসি মার্কেট, আড়ং, জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার, যাত্রা, জয়িতা, ইউনিমার্ট, দোয়েল চত্বরসহ বিভিন্ন জায়গায় পেয়ে যাবেন পছন্দসই বেতের ঝুড়ি।
দরদাম
নকশা ও আকার বুঝে বাজারে বাঁশ, বেত ও হোগলার ঝুড়ি দাম ৫০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা।