ফ্যাশনে ত্রিশ পেরিয়ে

ফ্যাশন শোতে মডেলদের সঙ্গে ডিজাইনার রিনা লতিফ। ছবি: নকশা
ফ্যাশন শোতে মডেলদের সঙ্গে ডিজাইনার রিনা লতিফ। ছবি: নকশা

‘আই ফলো ইউ’ গানটা শেষ হতেই বেজে উঠল ‘ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে...’। আর এই গানের মতোই পশ্চিমা পোশাকে ঝড়ের গতিতে হেঁটে যাওয়া মডেলদের পর মঞ্চে এলেন ধীরপায়ের আরেক ঝাঁক মডেল। শাড়ি, কামিজ আর পাঞ্জাবিতে সেজে। এভাবে নানা কিউতে নানা সাজ-পোশাকে রানওয়েতে হেঁটে গেলেন মডেলরা। আর তাঁদের পোশাক দেখে আমন্ত্রিত অতিথিরা কখনো হাততালি দিলেন, কখনো আনন্দে চিৎকার করলেন।

ডিজাইনার হিসেবে রিনা লতিফের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ এই ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল র‍্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনের বলরুমে। ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় এই ফ্যাশন শো দেখতে আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন দেশের স্বনামধন্য ব্যক্তি থেকে দেশি-বিদেশি ক্রেতারা।

বেশ কয়েকটি কিউতে মডেলরা হাঁটেন মঞ্চে। এ সময় মসলিন কাপড়ে তৈরি শাড়ি, কামিজ, কুর্তাসহ ওড়নার বৈচিত্র্যময় সংগ্রহ দেখা যায় মঞ্চে। গরমে আরামদায়ক সুতি কাপড়ের সংগ্রহে দেখা যায় টপ, আনারকলি, গোল ঘেরের কামিজ, স্কার্ট, জ্যাকেট ইত্যাদি। ছাই, সাদা ও চাপা সাদা রঙের এসব পোশাকের হাতা, নিচের দিকে ও বুকের সামনে নানা রকম ফুলেল নকশা। জরির সুতা দিয়ে কাজ করায় পোশাকে ফুটে উঠেছে আভিজাত্য। শাড়িতে কুঁচির পাড় বিশেষভাবে নজর কাড়ে।

নেট কাপড় বা মখমলের তৈরি কটি, সারারা ও গাউন কাটের লম্বা ড্রেসগুলোও বিশেষভাবে চোখে পড়ে এর বৈচিত্র্যময় নকশার কারণে। পাজামার হাঁটুর নিচ থেকে কুচির নকশাও ছিল সমসামায়িক।
রিনা লতিফের অধিকাংশ পোশাকে ফুলেল নকশা দেখা গেল। আন্তর্জাতিক ফ্যাশনে যা এখন বেশি চলছে। দেখা গেল ডলার ও চুমকির কাজ করা পোশাকও। ছেলেদের সংগ্রহে সুতি ও মসলিনের পাঞ্জাবির পাশাপাশি নানা নকশার প্রিন্স কোটের দেখা মেলে। বর-বউয়ের বিশেষ সংগ্রহও দেখা যায়। অনুষ্ঠানের শুরুতে রিনা লতিফের কাজের ওপর একটি বিশেষ তথ্যচিত্র দেখানো হয়। সেখানে এই ডিজাইনার বলেন, ‘মানুষের জন্য কাজ করতে আমার সব সময় ভালো লাগে। মানুষকে সাজানোর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নিজে কখনো সাজার ফুরসত পাইনি। তবে সেটা নিয়ে আমার কোনো আফসোস নেই।’
অনুষ্ঠানটির আয়োজনে সহযোগিতা করে স্কয়ার, মোহাম্মদী গ্রুপ ও অ্যাকুয়া পেইন্টস।

নকশায় নতুনত্ব—স্কার্ট, টপ, শাড়ি বা কামিজে।
নকশায় নতুনত্ব—স্কার্ট, টপ, শাড়ি বা কামিজে।