এখন ত্বকের যত্নে

ছেলেদের ত্বকে এই আবহাওয়ায় দেখা দেয় নানা সমস্যা। তবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে এসব অনেকটা এড়ানো সম্ভব।  মডেল: সোহেল এবং রাজ, ছবি: নকশা
ছেলেদের ত্বকে এই আবহাওয়ায় দেখা দেয় নানা সমস্যা। তবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে এসব অনেকটা এড়ানো সম্ভব। মডেল: সোহেল এবং রাজ, ছবি: নকশা

রোদের যে তেজ, তাতে বাইরে যাওয়াই দায়। বৈশাখের গরম আবহাওয়ায় ঘেমে-নেয়ে একাকার পুরো শরীর। সেই সঙ্গে বাইরে বেরোলেই ধুলাবালু লেগে ত্বকের অবস্থা যাচ্ছেতাই। কিন্তু এসবের ভয়ে তো আর ঘরে বসে থাকলে চলবে না। বরং ধুলাবালু আর রোদের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে বাইরে চলতে একটু যত্ন নিতে পারেন আপনার ত্বকের। হেয়ারোবিক্সের স্বত্বাধিকারী রূপবিশেষজ্ঞ শাদীন মাহবুব বলেন, ‘নানা কাজে ছেলেদের ঘরের বাইরে চলতে হয়। ছেলেরা নিজের চেহারার দিকে খুব কমই মনোযোগ দিয়ে থাকে। ফলে ত্বক হয়ে যায় রুক্ষ। কিছুটা সচেতন থাকলেই তারা নিজেকে সতেজ রাখতে পারে। রোদে পোড়া ত্বকের কালচে ভাবও দূর করতে পারে।’ মুখে কালচে দাগ যাতে না পড়ে, সে জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় সান প্রোটেক্ট ফিল্টার ব্যবহার করা। যে কারণে এই সময়ে উপযুক্ত হচ্ছে সিপিএফ ১৫।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে
ত্বক তৈলাক্ত হলে বাইরে গেলেই মুখ তেলতেলে দেখায়। ছেলেদের ত্বকে এই সময়েও আর্দ্রতা ধরে রাখাটা জরুরি। যে কারণে প্রতিদিন পরিষ্কার পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। বাইরে যাওয়ার আগে ফেসওয়াশ দিয়ে ভালোমতো মুখ পরিষ্কার করে নিন। বাইরে থেকে এসে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে মুখে একটু ময়েশ্চারাইজার ক্রিম বা লোশন দিয়ে ঘুমাতে পারেন। এতে ত্বক কোমল থাকবে। সকালে উঠেই তা আবার পরিষ্কার করে ফেলুন।

ত্বকের কালচে ভাব এড়াতে
শাদীন মাহবুব বলেন, ‘এই সময়ে নিয়মিত গোসল করাটা জরুরি। গোসলের সময়ে পুরো মুখ ও শরীর পরিষ্কার করে নিলে ময়লা জমে থাকতে পারে না।’ তিনি আরও জানান, বাইরে গেলে যাঁদের ত্বকে কালচে ভাব আসে, তাঁরা সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করতে পারেন। আর এটি কেনার আগে অবশ্যই এসপিএফ কত, তা দেখে কেনা ভালো। অনেকে মনে করেন, সারা বছর ত্বকে সানস্ত্রিন লোশন লাগানো ঠিক নয়, এ ধারণাটা সম্পূর্ণ ভুল বলে জানান মাহবুব।

গোটা বা ব্রণ হলে
এই মৌসুমে অনেকের মুখে গোটা বা ব্রণ দেখা দেয়। এর কারণ হলো, মুখ অপরিষ্কার রাখা। নিয়মিত মুখ পরিষ্কার রাখলে গোটা বা ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়। ময়লা জমে মুখের লোমকূপ বন্ধ হয়ে গেলে সেখানে গোটা ওঠে। তাই ফেসওয়াশ বা মুখে ব্যবহার উপযোগী সাবান দিয়ে মুখ নিয়মিত সকাল-বিকেল পরিষ্কার করা উচিত। ঘামের করণে অনেকের শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি হয়। যে কারণে সবারই প্রচুর পানি পান করা দরকার। তা ছাড়া এই সময়ে পটাশিয়ামের ঘাটতি মেটাতে খেতে পারেন ডাবের পানি। গোসলের সময়ে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখটা ধুয়ে নিতে পারেন। এরপর মুখে ব্যবহার করতে পারেন ক্রিম। তাহলেই ব্রণ বা গোটা থেকে সহজেই মুক্তি মিলবে।

দাড়ি কামানোর পর
শেভ করা বা দাড়ি কামানোর পর আফটার শেভ লাগানো প্রয়োজন। এটি রোদের তাপ ও সূর্য রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বক রাখে সুরক্ষিত। তবে কম মাত্রায় অ্যালকোহল আছে, এমন আফটার শেভই মুখের জন্য ভালো।

গরমে বেশি করে পানি পান করলেও শরীর সুস্থ থাকে। এ ছাড়া ত্বক ভালো রাখতে প্রতি মাসে নিয়মিত দুবার ফেসিয়াল করে নিতে পারেন।