মাসিকের সময় ব্যথা

মাসিকের সময় অল্পস্বল্প পেটে ব্যথা হতে পারে। কিন্তু মাঝে মাঝে অনেক বেশি ব্যথা হতে পারে। ব্যথার কারণে দৈনন্দিন কাজকর্ম করা যায় না, স্কুল-কলেজ যাওয়া বন্ধ রাখতে হয়। সাধারণত ১৬-২৪ বছরের মেয়েরা এ সমস্যায় বেশি ভোগেন।

হরমোনের সমস্যা, মানসিক চাপ, বেকারত্ব, ডিম্বাশয়ে চকলেট সিস্ট বা পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ, জরায়ু টিউমার ও জন্মগত জরায়ু সমস্যার কারণে এমন ব্যথা হতে পারে।

ব্যথা অনেক সময় এত বেশি হয় যে রোগীকে খুব বিমর্ষ দেখায়। ব্যথার সঙ্গে কারও কারও মাথাব্যথা, কোমরব্যথা বা বমি হতে পারে।

করণীয় 
*পেটে গরম পানির সেঁক। 
* ভিটামিন ই, বি১, বি৬, সি জাতীয় খাবার। যেমন: চীনাবাদাম, পোস্ত বাদাম, আম, কলা, আপেল, মাছ, ডিম, গম, সবুজ সবজি-এই খাবারগুলো মাংসপেশির সংকোচন কমিয়ে ব্যথা কমাবে। 
* গরম পানিতে কোমর ডুবিয়ে ২০-২৪ মিনিট বসে থাকলে উপকার পাবেন। 
*শরীর ম্যাসাজ
* বেশি ব্যথা হলে ব্যথা কমানোর ওষুধ, হরমোনের ওষুধ এবং অনেক সময় জরায়ু বা ডিম্বাশয়ের অস্ত্রোপচার লাগতে পারে।

স্কুলগামী মেয়েদের এটা বেশি হয়। তাই মা-বোন বা পরিবারের আপনজন এই বিষয়ে আগেই ধারণা দিতে পারেন। স্কুলের বইয়ে মাসিক বিষয়ে বলা আছে। তাই শ্রেণিকক্ষে শিক্ষিকারা খোলামেলা আলোচনা করলে ভয় ও জড়তা কমবে। ব্যায়াম করা, পুষ্টিকর খাবার, মানসিক চাপমুক্ত এবং মিনিস্ট্রুয়াল হাইজিন-এই সমস্যা অনেক কমাতে পারে।

 ডা. শারমিন আব্বাসি
সহকারী অধ্যাপক, প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগ আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল