অনামিকার বন্ধনে

আংটিতে বাঁধা পড়ুক হৃদয়ের কথা। মডেল: দীপ ও সারা, কৃতজ্ঞতা: ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, ছবি: নকশা
আংটিতে বাঁধা পড়ুক হৃদয়ের কথা। মডেল: দীপ ও সারা, কৃতজ্ঞতা: ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, ছবি: নকশা

ভালোবাসে। কিন্তু এটা বোঝানোর মতো শব্দ খুঁজে পায় না ছেলেটি। ফাগুনের দিনে ফুল দেবে কি? বসন্তের প্রথম গোলাপ কিংবা কবিতার এক শ আটটি নীলপদ্ম? কিন্তু তাও তো একসময় শুকিয়ে যাবে। মেয়েটা তার কথাই ভাবুক, যেমনটি ভাবে সেও। সকাল–সাঁঝে, কর্মব্যস্ততার হুল্লোড়ে কিংবা নির্জনতার কোলাহলে। একদিন সব ভাবনা জুড়ে দেয় মেয়েটির অনামিকায়। ছেলেটি সব ভালোবাসা নিংড়ে কিনে এনে দেয় ভালোবাসার দিনের উপহার। ঝলমলে ছোট্ট একটি আংটি। কোনো বন্ধনের শিকলে বাঁধতে নয়। মেয়েটিকে জানিয়ে দেয়, আমি আছি। আমি থাকব সব সময়।

একজীবন একসঙ্গে কাটিয়ে দেওয়ার ইচ্ছেটুকু স্পষ্ট করার জন্য আংটির বিকল্প কিছু তো নেই। হৃদয়ের টুকটুকে লাল রং পৌঁছে গেছে যে অনামিকায়, তাকে বেঁধে প্রেমিক এবং প্রেমিকা চেষ্টা করতেই পারেন দুখানা হৃদয় বেঁধে নেওয়ার। ‘সেই আংটিখানা এমন হওয়া ভালো, যা টিকে থাকবে অনেক দিন। সে ক্ষেত্রে একটু দামি উপকরণের আংটি বেছে নিতেই পারেন।’ বলছিলেন কনক দ্য জুয়েলারি প্যালেসের প্রধান নির্বাহী লায়লা খায়ের। যোগ করলেন, ‘আশপাশের দেশে ৯ ক্যারেটের আংটি পাওয়া যায়, যেগুলো দামে কম কিন্তু সোনার মতোই টিকে থাকে। গয়না তৈরি করেন এমন পরিচিত কেউ থাকলে আরেকটু কম ক্যারেটে আপনিও দেশেই বানিয়ে নিতে পারেন। রুপার আংটির বড় বদনাম কালো হয়ে যাওয়ার। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আসল রুপা বা অন্তত ৯২ শতাংশ রুপা আছে এমন উপকরণে আংটি বানাতে হবে। খাঁটি রুপায় কখনো দাগ পড়ে না। খেয়াল রাখবেন যেন আলো ও ধুলো চলাচল করতে পারে এমন ডিজাইন বেছে নিতে। নইলে ধুলোর পরত পড়লে পাথর তার জৌলুশ হারায়।’ তাই ভালো হয় কোনো বিশেষজ্ঞের সঙ্গে ডিজাইন নিয়ে একবার আলাপ করে নিতে। এসব আংটির দাম ঠিক হবে বাজারদর অনুযায়ী। তবে পলিশ করার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। ভালো পলিশিং হলে স্টিলের আংটিও রুপার মতো ঝকঝক করে।

তবে ভালোবাসা প্রকাশে হিরের আবেদন এখন সবচেয়ে বেশি। কিন্তু হিরের যে অনেক দাম। তাই হিরের গয়নার ব্র্যান্ডগুলো ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে দারুণ কিছু সুযোগ করে দিচ্ছে। দিলীপ কুমার ব্যবস্থাপনা নির্বাহী হিসেবে কাজ করছেন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডে। তিনি জানালেন, আমরা এক শরও বেশি নকশায় পাতলা হিরের আংটি তৈরি করেছি এবার, শুধুই ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে। ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যে যেগুলো ১০ থেকে ২০ হাজারে কেনা যাবে। এই তারিখের মধ্যে অন্যান্য কেনাকাটা করলে সোনা ও হিরের আংটি বানাতে ৩০ শতাংশ ছাড় পাবেন, প্রিভিলেজ কার্ড ও কিস্তিতে কেনার সুবিধাও পাবেন। থাকছে ২১ দিনের মধ্যে আংটি বদলানোর সুযোগও। চাইলে প্লাটিনামের গয়নাও কিনতে পারবেন। আগে হৃদয়ের আকারের পেনডেন্ট বেশি কিনতেন প্রেমিকেরা, এখন আংটিতেই হার্টশেপ এসেছে। ফুল, লতা ও জ্যামিতিক নকশাও থাকছে।

সাধ ও সাধ্যের গাঁটছড়া না মিললে ঢুঁ মারতে পারেন অনলাইনে। ফেসবুকের গয়নার পেজগুলো ছাড়াও দেখতে পারেন আজকের ডিল, দারাজ অথবা কিংবা বাগডুমে। ১৫০ থেকে ৫০০–র মধ্যেই আংটি কেনা যাবে। তারই–বা দরকার কী? হাল আমলের নির্মিত ইংরেজি সিনেমায় দেখলাম নায়ক গিটারের তার কেটে, তা–ই পেঁচিয়ে আংটি বানিয়ে পরিয়ে দিয়েছে নায়িকাকে। তাই দেখে নায়িকা কেঁদে ফেলেছে খুশিতে। ভালোবাসাটুকু নিখাদ হলে, আংটির উপকরণ বা দামে কিছু কি এসে যায়?