ভালোবাসার অণুগল্প গল্প ৩

>

‘ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে হিরো আয়োজন করেছিল হিরো ভালোবাসার অণুগল্প। সহযোগিতায় ছিল প্রথম আলো। তিনটি গল্প শুরু করে দিয়েছিলাম আমরা আর শেষ করেছেন অংশগ্রহণকারীরা। আপনাদের কাছ থেকে আমরা হাজারেরও বেশি অসাধারণ কিছু গল্প পেয়েছি। এই গল্পগুলো থেকে সেরা তিনটি গল্প বেছে নিয়েছেন আনিসুল হক।’

প্রতিদিন সকালে বাইকটাকে ধোয়ামোছা করা অভ্যাস হয়ে গেছে। বিশেষ করে বাইকের সিটটা একটু বেশি সময় নিয়ে পরিষ্কার করি। তুমি একদমই ধুলো পছন্দ করতে না, বাইকে করে যতবার তোমায় নিয়ে বাইরে গেছি, ততবার সিটের ধুলো নিয়ে অভিযোগ ছিল।
আচ্ছা এখনো কি ধুলো তোমার অপছন্দের?
মোবাইলটা বেজে উঠল, স্ক্রিনে ভেসে উঠল সেই চেনা নম্বরটা...

হৃৎস্পন্দন বেড়ে গেল। হৃৎস্পন্দন বাড়ার কারণ ফোনের ভাইব্রেশন না, স্ক্রিনে ভাসতে থাকা নম্বরটা। ফোনটা রিসিভ করলাম।

পরিচিত কণ্ঠে ভেসে এল, ‘কেমন আছ?’ (কণ্ঠটা শুনলাম ২ বছর ৫ মাস ১৭ দিন পর)

আমি উত্তরে বললাম, ‘ভালো।’
যেন মুখ দিয়ে কথা বের হতে চাচ্ছে না। নিশ্বাস ভারী হয়ে আসছে। (অথচ একদিন এই নম্বরে হাজারো গল্প করতাম)

তারপর, কয়েকটা প্রশ্ন আর তারই উত্তর।
সে জিজ্ঞেস করল, ‘কী করছ ?’
বললাম, ‘বাইকের সিটের ধুলো পরিষ্কার করছি।’
‘বাইকের সিটটা এখনো পরিষ্কার করো কেন?’
প্রশ্নের জবাবে বলেছিলাম, ‘পুরোনো অভ্যাস।’

এত দিন পর ফোন করার কারণ জানতে ইচ্ছে করছিল, ইচ্ছে করছিল জানতে নতুন ঘর, পরিবারে সুখে আছ কি না।
কিন্তু করা হলো না। কিছু প্রশ্ন প্রশ্ন থাকাই ভালো।