করোনাকালে অন্তঃসত্ত্বার খাবার

অন্তঃসত্ত্বা নারীদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। কারণ, এ সময় তাঁদের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। এ জন্য তাঁদের প্রয়োজন বাড়তি যত্ন, সঠিক পুষ্টি। এতে মায়ের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি গর্ভের শিশুর সঠিক বেড়ে ওঠা নিশ্চিত হবে।

খাদ্যতালিকায় যা রাখবেন

১. প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় তাজা রঙিন শাকসবজি থাকতে হবে।

২. দিনে অন্তত তিন ধরনের সবজি (অন্তত তিন রঙের) এবং আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৩. প্রতিদিন ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। এ ক্ষেত্রে দেশি ভিটামিন সি–যুক্ত ফল যেমন লেবু, কমলা, পেয়ারা ইত্যাদিকে প্রাধান্য দিন।

৪. পূর্ণ শস্যজাতীয় খাবার যেমন গমের আটা, লাল চাল, ওটস, ভুট্টা বা পপকর্ন খাদ্যতালিকায় রাখুন।

৫. প্রতিদিন পর্যাপ্ত প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। এতে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি গর্ভস্থ শিশুও সঠিকভাবে বেড়ে উঠবে। প্রতিদিন একটা ডিম, ২-৩ টুকরো মাছ, মুরগির মাংস খেতে হবে।

৬. উদ্ভিজ্জ প্রোটিন হিসেবে বীজজাতীয় খাবার যেমন কুমড়ার বিচি, শিমের বিচি, কাঁঠালের বিচি, কয়েক ধরনের ডাল খেতে পারেন। এতে প্রোটিনের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজের চাহিদাও পূরণ হবে।

৭. ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি–যুক্ত খাবার খেতে হবে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় দুধ, পনির, বাদাম যেমন কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, চিনাবাদাম, আখরোট, পেস্তাবাদাম রাখুন। ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক হয় ও শিশুর হাড় মজবুত করে। ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টার মধ্যে অন্তত ১৫-২০ মিনিট রোদে থাকুন।

৮. প্রতিদিন আধা কাপ থেকে এক কাপ দই খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এতে অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পাবে।

৯. প্রসেসড ফুড, রং ও ফ্লেভারিং এজেন্ট দেওয়া খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

১০. সপ্তাহে তিন-চার দিন ঘরে বসে হালকা ব্যায়াম, যোগব্যয়াম, মেডিটেশন করতে পারেন। এতে মন প্রফুল্ল থাকে। পাশাপাশি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। ফলে শিশুর সঠিক বৃদ্ধিও নিশ্চিত হবে।