কাগজের রকেট

বর্গাকৃতির এক টুকরা কাগজ থাকলেই বানিয়ে ফেলা সম্ভব কাগজের রকেট। শুধু জানতে হবে অরিগ্যামির কৌশল। চলুন ধাপে ধাপে দেখে নেওয়া যাক রকেট তৈরির কৌশল।

যা লাগবে:
৬ x ৬ ইঞ্চি একটি রঙিন কাগজ।

যেভাবে তৈরি করবেন:

১. রকেট বানাতে প্রথমে ‘ওয়াটারবম্ব ফোল্ড’ দিতে হবে। ওয়াটারবম্ব অরিগ্যামির একটি ভিত্তি ভাঁজ (বেস ফোল্ড)। এই ভাঁজকে ভিত্তি ধরে অনেক কিছুই বানানো সম্ভব।
কাগজের এই ভাঁজ করতে প্রথমে বর্গাকৃতির কাগজটিকে লম্ব বরাবর সোজা ভাঁজ করে ফেলতে হবে। সেই ভাঁজকে আবার মাঝামাঝি ভাঁজ করতে হবে। অর্থাৎ কাগজের চারটি ভাঁজ হবে। এবার শেষের ভাঁজ খুললে দুই পাশে যে দুটি আলাদা বর্গক্ষেত্র পাওয়া যায়, সেটাকে কোনাকুনি ভাঁজ করতে হবে। দুই দিকেই এভাবে ভাঁজ করলে কাগজটা ত্রিভুজের মতো দেখাবে। এই ত্রিভুজের ধার ধরে কাগজগুলোকে ভেতর থেকে ঢুকিয়ে দিতে হবে। তাহলে কাগজটি একটি পিরামিডের মতো আকার ধারণ করবে। এটাই ওয়াটারবম্ব ফোল্ড।

২. ওয়াটারবম্ব ফোল্ড হলে চার দিকের বাইরের চার অংশ আবার ভাঁজ করে মাঝখানে নিয়ে আসতে হবে। সেই কাগজও আবার ভাঁজ করে অর্ধেক করে নিচে নামিয়ে আনতে হবে।

৩. এরপর শেষ ভাঁজটা খুলতে হবে। খুলে ভেতরে যে ফাঁকা অংশ আছে, তার ভেতরে আঙুল ঢুকিয়ে শেষ ভাঁজটা ধরে চাপ দিলেই নিচের দিকে ছোট্ট একটা বর্গ এলাকা বের হয়ে আসবে। চারপাশের কাগজ থেকেই এই বর্গ বের করতে হবে।

৪. মুখোমুখি ও পিঠাপিঠি বর্গের মাঝখানে একটা খালি অংশ থাকবে, যেখানে কোনো বর্গ নেই। সামনের বর্গের দিকের কাগজ অর্ধেক করে ভাঁজ করে সেটি পেছনে পাঠিয়ে দিতে হবে। চার অংশেই একইভাবে করতে হবে।

৫. কাগজ পেছনে চলে গেলেই একটা খোলা অংশ পাওয়া যাবে, যেখানে আঙুল ঢুকিয়ে ওপরের কাগজে প্যাঁচ দিলে একটি ত্রিভুজ ভাঁজ বের হয়ে আসবে। এমন চারটা পা বের হয়ে এলে মুখোমুখি দুটির মধ্যে একটা ত্রিভুজ পাওয়া যাবে। সেটাকে ভাঁজ করে পেছনে পাঠিয়ে দিলেই রকেট তৈরি উড্ডয়নের জন্য।