মেহেদি রাঙা রঙিন হাত

মেহেদির হালকা নকশাই এবার চলছে। মডেল: বেনজির, মেহেদি ও সাজ: কিউবেলা, পোশাক: অন্যমেলা, ছবি: কবির হোসেন
মেহেদির হালকা নকশাই এবার চলছে। মডেল: বেনজির, মেহেদি ও সাজ: কিউবেলা, পোশাক: অন্যমেলা, ছবি: কবির হোসেন

একটি দৃশ্য আজকাল ঈদের আগের দিন বেশ চোখে পড়ে। শহরের বিভিন্ন রূপচর্চাকেন্দ্র থেকে দল বেঁধে 
মেয়েরা হাতে মেহেদি লাগিয়ে বের হচ্ছে। ঈদের আগের দিন মেহেদি লাগানোর এই চল বহু আগে থেকেই
চলছে। শুধু যে রূপচর্চাকেন্দ্রগুলোতেই মেহেদি লাগানো হয়, তা নয়।

ছবি: কবির হোসেন
ছবি: কবির হোসেন

ঈদের চাঁদ দেখার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে
মেয়েরা হাতে মেহেদি লাগাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ছোট কি বড়—সবার মধ্যেই ঈদের আমেজ এনে দেয় মেহেদি।
বছরের পর বছর ধরে চলে আসা এই মেহেদি কি একই রকমভাবে লাগানো হবে এবার, নাকি কোনো নতুন
ট্রেন্ড এসেছে?
কিউবেলার রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা আরমান বলেন, এবার যেহেতু লম্বা কামিজের সঙ্গে লম্বা হাতার চল। ফলে
কনুই পর্যন্ত মেহেদি না পরাই ভালো। কালো মেহেদি হাতের তালুতে না দিয়ে ওপরে দিতে পারেন। কালো
মেহেদির ক্ষেত্রে জ্যামিতিক নকশা চলছে।
জ্যামিতিক ছাড়াও একটু চেক ধাঁচের, কোনাকুনি নকশাও চলবে। তবে লাল মেহেদি যেকোনো নকশা করেই
দিতে পারেন।

ছবি: কবির হোসেন
ছবি: কবির হোসেন


মেহেদি বাই শঙ্খ-এর স্বত্বাধিকারী সায়মা ফেয়রুজ বলেন, ঈদের মেহেদি কখনোই বিয়ের কনের মেহেদির
মতো করে দেওয়া ঠিক নয়। দুটিতে ভিন্নতা থাকাই তো ভালো।
হাতের ওপরে খুব ঘন করে না দিয়ে হালকা
করে দিতে পারেন। আর তালুতে ইচ্ছা করলে ঘন নকশা করে মেহেদি দেওয়া যেতে পারে।
মেহেদির নকশায়ও ফিউশন এসেছে। ফুলেল নকশা যেমন চলছে, তেমনি ক্যালিগ্রাফি ধাঁচের নকশাও পছন্দ
করছেন কেউ কেউ। এমনটাই জানা গেল সায়মা ফেয়রুজের কাছে। বাজারে নানা ধরনের মেহেদি পাওয়া যায়। দ্রুত রং পাকা হওয়ার জন্যও বিশেষ মেহেদি আছে। এসব

ছবি: কবির হোসেন
ছবি: কবির হোসেন

মেহেদিতে রাসায়নিক দ্রব্য দেওয়া থাকে। যাঁদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে, তাঁরা মেহেদি ব্যবহারের আগে
হাতের কোনাই একটু দিয়ে পরীক্ষা করে নেবেন। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে মেহেদি এড়িয়ে চলা ভালো।
তবে ট্রেন্ড ধরেই মেহেদি দিতে হবে, তা নয়। চিরায়ত নকশা—হাতের তালুতে ছোট গোল ও আঙুলের অর্ধেক
পর্যন্ত মেহেদি দিতে পারেন। কম বয়সী মেয়েরা মেহেদি দিলেও নখে উজ্জ্বল রঙের নেইলপলিশ পরলে হাত
আকর্ষণীয় দেখাবে।
বাজারে বিভিন্ন আকারের বিভিন্ন মেহেদি পাওয়া যায়। এসব মেহেদির দাম পড়ে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে
২০০ টাকা পর্যন্ত। আর একেক রূপচর্চাকেন্দ্রে একেক দামে মেহেদি পরানো হয়। সেটি নকশা ও হাতে কতটুকু
দিচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করে। আর মেহেদি পাতা পাওয়া যায় প্রায় সব কাঁচা বাজারেই। বাজার থেকে
মেহেদি পাতা কিনে এনে বেঁটেও মেহেদি পরতে পারেন।