ঈদে চাই আতর তসবি নতুন টুপি

ঈদের বাজারে এখন আছে হরেক রকম আতর, তসবি, টুপি, জায়নামাজ। ছবি: নকশা
ঈদের বাজারে এখন আছে হরেক রকম আতর, তসবি, টুপি, জায়নামাজ। ছবি: নকশা

ঈদ বাজারে বড় বড় কেনাকাটা শেষ করেছেন হয়তো। ভাবছেন আর কী কেনার আছে। তাঁদের জন্যই জানচ্ছি, সকালে ঈদগাহে নামাজ পড়তে যাবেন, আর হাতে নতুন জায়নামাজ থাকবে না, তা কি হয়? কিংবা নতুন কেনা পাঞ্জাবিতে আতরের সুবাস না থাকলেচলে! ঢাকার বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সের আল মাসক দোকানের ইনচার্জ মো. আবু মোহসীন বলেন, ‘ঈদ যত কাছে আসছে, আমাদের বেচাকেনা বাড়ছে। নানা ধরনের আতরের সুবাসের মধ্যে বড়রা একটু কড়া গন্ধের নিলেও তরুণেরা নিচ্ছেন হালকা সুবাসের আতর।’

জায়নামাজ

বিভিন্ন ধরনের জায়নামাজ পাবেন বাজারে। এর মধ্যে আমাদের দেশি জায়নামাজ ছাড়াও তুরস্ক, পাকিস্তান, ভারত বা বেলজিয়ামে তৈরি জায়নামাজ পাবেন বাজারে। জায়নামাজের বুনন, কোমলতা ও নকশার ওপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে। দেশি জায়নামাজ কিনতে চাইলে ১৫০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা দাম পড়বে। তুরস্কের জায়নামাজ ৪৫০ থেকে তিন হাজার টাকা, পাকিস্তানি জায়নামাজ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বেলজিয়ামে তৈরি জায়নামাজ পাবেন ৮০০ থেকে পাঁচ হাজার টাকায়, ভারতে তৈরি জায়নামাজ পাবেন চার হাজার টাকার মধ্যে।

আতর কথা

আতরের বাজারে দেশি ছাড়াও ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে আনা আতর পাবেন। জনপ্রিয় আতরের পসরা মিলবে অনেক দোকানে। এর মধ্যে ক্রেতাদের চাহিদায় বেশি আছে জান্নাতুল নাঈম, জান্নাতুল ফেরদাউস, শাইখা, হাজরে আসওয়াদ, সুলতান, উদ, কিং হোয়াইট, আল-ফারেজ, কুল ওয়াটার ইত্যাদি নামের আতর। সাধারণত আতর বিক্রি হয় তোলা হিসাবে। প্রতি তোলা আতরের দাম ৮০০ থেকে ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে চাইলে এক তোলার চার ভাগের এক ভাগও কিনে নিতে পারেন।

নানা ধরনের আতরের বোতল বা দানি পাওয়া যায় বাজারে। এই বোতলগুলোতে আতর সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। কাচ, ধাতুসহ নানা পাথরের এসব দানির দাম পড়বে ২০০ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত।

তসবি

পাথরের তসবি তো আছেই। চন্দন কাঠ, প্লাস্টিক, জয়তুন কাঠ, হাতির হাড়, দাঁত, হরিণের শিং দিয়ে বানানো তসবিও পাবেন। প্রকারভেদে দাম পড়বে ১০০ থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত।

টুপি

আমাদের দেশে বানানো টুপি ছাড়াও বাজারে আছে ভারত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের টুপি। নানা ধরনের মধ্যে জরি টুপি, তুর্কি সুতা, উলের টুপি, জালি টুপি ইত্যাদি বেশি চলছে বাজারে। নানা ধরনের টুপির দাম পড়বে ৫০ থেকে দুই হাজার টাকা।

আগর কাঠ

অনেকে ঘরের প্রবেশমুখে বা ভেতরে আগরের সুবাস চান। তাঁরা চাইলে আগরবাতি কিনে জ্বালাতে পারেন। বাড়িতে কোনো বয়স্ক মানুষ থাকলে তাঁর ঘরেও জ্বালাতে পারেন। তবে আগরবাতির চেয়ে একটু আভিজাত্য আনতে কোনো সুন্দর দানিতে করে পোড়াতে পারেন আগর কাঠ। এই কাঠের সুবাসে পুরো ঘর ভরে উঠবে। বাক্স হিসেবে এই কাঠ কিনতে চাইলে দাম পড়বে ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া খোলাও কিনতে পারবেন আগর কাঠ। দাম প্রতি গ্রাম ১০০ থেকে ২০০ টাকা।

যেখানে কিনবেন

ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স, কাঁটাবন, এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, পল্টন, মতিঝিল, বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেট, শান্তিনগর, মালিবাগ, চকবাজার, লালবাগ, রামপুরা, উত্তরা, বনানী, মিরপুর ইত্যাদি এলাকায় পাবেন এসব পণ্য।