নারীকে নিজের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে

নতুন প্রজন্মের তরুণীরা সংসার ও পেশাজীবন সামলাতে গিয়ে ঘরে-বাইরে অনেক স্ট্রেস ও মানসিক চাপের মুখোমুখি হন। বেশি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজেদের চাওয়া-পাওয়া, ভালো-মন্দ ভুলে যান। পরিণামে তাঁদের শরীরে বাসা বাঁধে অসুখ-বিসুখ। 

হৃদ্‌রোগ, বাত, হাড় ক্ষয়, স্তন ও জরায়ুর ক্যানসার, বিষণ্নতা, মাতৃত্বকালীন জটিলতা, থাইরয়েড, অপুষ্টি ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধে অল্প বয়সেই নারীদের সচেতন হতে হবে। এ বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শ: 

* আগেকার দিনে পরিবারের নারী সদস্যটি সবাইকে খাইয়ে-দাইয়ে উচ্ছিষ্টটুকু নিজের জন্য রাখতেন। এখনো দেখা যায়, নারীরা অন্যদের দেখভাল করায় সচেতন থাকলেও কেউ কেউ নিজেদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে উদাসীন থাকেন। ঘরের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁরাই ছোটাছুটি করেন, কিন্তু নিজের কোনো চেকআপ করাতে ভুলে যান। এই প্রবণতা থেকে নারীকে বেরিয়ে আসতে হবে। ছোটখাটো স্বাস্থ্য সমস্যাকে অবহেলা না করে গুরুত্ব দিন। রক্তচাপ, রক্তে শর্করা ও চর্বি এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ইত্যাদি নিয়মিত পরীক্ষা করান। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

* হাড় ক্ষয় মধ্যবয়সের পর থেকেই আক্রমণ করতে থাকে। তাই প্রতিদিন খেয়াল করে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার (যেমন: দুধ, দই ও পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন) খেতে হবে। সকালের নাশতা ও নিয়মিত খাবার বাদ দেওয়া যাবে না। সময়মতো খেতে হবে।

* বাইরে থেকে ফিরেই টিভির সামনে বসবেন না। হাঁটার সময় নেই? বাড়িতে বসেই শরীরচর্চা করা যায়। ট্রেডমিল নামের যন্ত্র ব্যবহার করা যায়।

* সবার সঙ্গে কাজ ভাগ করে নিন। বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। শখের চর্চা করুন। আধুনিক প্রযুক্তি, ফেসবুক, ইন্টারনেট ব্যবহারে যেন আসক্তি না হয়। বরং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নির্মল বিনোদন, বই পড়ার প্রতি বেশি মনোযোগী হোন।