বিশিষ্ট সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন আর নেই

নাজিম উদ্দিন মোস্তান
নাজিম উদ্দিন মোস্তান

একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন মোস্তান আর নেই। গতকাল রোববার বিকেল চারটায় মিরপুরের সাংবাদিক আবাসিক এলাকায় নিজ বাসায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন মোস্তানের মেয়ে ও বাংলাভিশনের সিনিয়র নিউজরুম এডিটর নাজমুন নাহার গতকাল রাতে প্রথম আলোকে জানান, রোববার রাতে এশার নামাজের পর তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মিরপুর বাংলা স্কুলের পাশে জান্নাতুল মাওয়া কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
নাজিম উদ্দিন দীর্ঘ সময় ধরে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। তিনি ওই পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক ছিলেন। এর আগে তিনি দৈনিক পয়গাম ও দৈনিক সংবাদে কর্মরত ছিলেন। সব শেষে তিনি রাষ্ট্র নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রকাশক ছিলেন। পত্রিকাটি বোদ্ধা পাঠকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তবে অর্থ সংকটের কারণে তিনি রাষ্ট্র বেশি দিন সেটি চালাতে পারেননি।
বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতা জীবনের অধিকারী সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন মোস্তান তরুণ প্রতিবেদকদের খুব সহজ করে প্রতিবেদন লেখা শেখাতেন। তাঁর প্রতিবেদনে নানা ধরনের উপমার ব্যবহার ছিল লক্ষণীয়। ১৯৯৮ সালে হূদেরাগে আক্রান্ত হন তিনি, তখন দৈনিক ইত্তেফাক-এ কর্মরত ছিলেন। সাংবাদিক মহলে তিনি একজন পরিশ্রমী ও সৎ সংবাদকর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন নাজিম উদ্দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন। কম্পিউটার প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং সম্ভাবনার খবরাদি তিনিই প্রথম জাতীয় পত্রিকায় তুলে ধরেন। ইত্তেফাক-এ একসময় বিএনপি বিট কভার করতেন।
নাজিম উদ্দিনের মৃত্যুতে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা গতকাল মিরপুরে মরহুমের বাসভবনে যান এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।