দূরে দূরে থাকছেন মেলানিয়া ট্রাম্প?

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মেলানিয়া ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মেলানিয়া ট্রাম্প

গৃহদাহ শুরু হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংসারে। খবর রটেছে, ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন। দশক আগে এক পর্নো তারকার সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠার যে অভিযোগ উঠেছে, তারপর থেকেই নাকি এই দূরে দূরে থাকা। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে (ডব্লিউইএফ) মেলানিয়ার অনুপস্থিতি এই খবরের সত্যতা কিছুটা হলেও প্রমাণ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডির কার্যালয় থেকে ঘোষণাও এসেছিল, ডব্লিউইএফে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন মেলানিয়া ট্রাম্প। সে অনুযায়ী গতকাল তাঁর দাভোসে পৌঁছানোর কথা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ফার্স্ট লেডির কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ‘সময়সূচি আর যৌক্তিক কারণে’ ওয়াশিংটন ডিসিতেই থাকতে হচ্ছে মেলানিয়াকে।

১২ জানুয়ারি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, এক দশক আগে এক পর্নো তারকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ওই পর্নো তারকা যাতে বিষয়টি নিয়ে মুখ না খোলেন, সেই লক্ষ্যে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাসখানেক আগে এক আইনজীবীর মাধ্যমে তাঁকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন ট্রাম্প। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ২০০৬ সালে পর্নো তারকা স্টেফানির সঙ্গে ট্রাম্পের শারীরিক সম্পর্ক ছিল। এর এক বছর আগে মেলানিয়াকে বিয়ে করেন ট্রাম্প।

গত সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প আর মেলানিয়া ট্রাম্পের ছিল ১৩তম বিবাহবার্ষিকী। আগের বছরগুলোয় এ দিনটা বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে উদ্‌যাপন করলেও এবার যেন এই দম্পতি কোনোরকমে পার করে দিলেন দিনটা। টুইটারে আসক্ত ট্রাম্পের কাছ থেকে দিনটা উপলক্ষে কোনো টুইটই না এলেও এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই ডেমোক্র্যাটরা সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।

মেলানিয়ার দূরে দূরে থাকার আরও প্রমাণ মেলে স্বামীর সঙ্গে ফ্লোরিডায় গিয়েও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর অনুপস্থিতি। পর্নো তারকাকে অর্থ দেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়ার পরই এই দম্পতি ফ্লোরিডায় যান। আর এরপর এল দাভোস সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত।