বাণিজ্য যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে যুক্তরাষ্ট্র-চীন

কম দামে চীনের অ্যালুমিনিয়াম কি আর নেবে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: এএফপি।
কম দামে চীনের অ্যালুমিনিয়াম কি আর নেবে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: এএফপি।

বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দুটি অর্থনৈতিক শক্তির মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের ডামাডোল যেন শুরু হয়েই গেল। চীনের অ্যালুমিনিয়ামের ওপর কঠোর শুল্ক আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই মন্ত্রণালয় বলছে, চীন থেকে ওই পণ্য কম দামে বা সরকারি ভর্তুকিতে বিক্রি করা হচ্ছে, এতে এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদকদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা অসম্ভব হয়ে উঠছে।

ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ‘তীব্র অসন্তোষ’ প্রকাশ করেছে বেইজিং। অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইনি লড়াইয়ে যাবে বলেও জানিয়েছে তারা।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্বগ্রহণের পর থেকেই বাণিজ্য নিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে। গতকাল বুধবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা লিও হে এ বিষয়ে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পরই এ সিদ্ধান্তের কথা জানাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বিভিন্ন চীনা কোম্পানির ওপর এই শুল্ক আরোপ হবে। এই শুল্ক হার হতে পারে ৫০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত। তবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিশনের সমর্থন প্রয়োজন হবে। সিদ্ধান্ত ঘোষণার জন্য ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় নিয়েছে তারা।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘শক্ত বাণিজ্যবিষয়ক এজেন্ডার’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ওয়াশিংটন এই ‘ঐতিহাসিক’ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যসচিব উইলবার রস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বর্তমান প্রশাসন ন্যায্য ও পারস্পরিক বাণিজ্যের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের অন্যায্য আমদানি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে দিতে পারি না।’

তবে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এর জবাবে বলছে, চীন তার অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনের রপ্তানিকারকেরা ৩৪ কোটি ৯০ লাখ ডলারের অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল আমদানি করেছে। তদন্ত বলছে, এই আমদানি যে যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পের জন্য হুমকি, সেই প্রমাণ তাদের আছে।