'সিক্সটি মিনিটস'-এর পর চুপ ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস নিউজে প্রচারিত ‘সিক্সটি মিনিটস’ অনুষ্ঠানটি ছিল অন্য রকম। সপ্তাহের শেষ দিকের এই দিনে সংবাদপ্রিয় দর্শকেরা ‘সিক্সটি মিনিটস’ অনুষ্ঠানের দিকে তাকিয়ে থাকেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে অনেকেই পরিবার নিয়ে নৈশভোজের ফাঁকে ফাঁকে এই অনুষ্ঠান দেখেন।
এই ‘সিক্সটি মিনিটস’ নিয়ে আগে থেকে অনেকে সতর্ক থাকেন। পরিবারের অপ্রাপ্তবয়স্কদের এড়িয়ে অনুষ্ঠান দেখার আগাম প্রস্তুতি নেন তাঁরা। আগে থেকে খবর ছিল, পর্নো অভিনেত্রী স্টর্মি ড্যানিয়েলস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর অন্তরঙ্গ সম্পর্ক নিয়ে প্রথমবারের মতো কথা বলবেন। সিএনএনের খ্যাতনামা সাংবাদিক অ্যান্ডারসন কুপারের সঙ্গে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সাক্ষাৎকার আদৌ প্রচারিত হবে কি না, তা নিয়েও সংশয় ছিল।
ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে এমন রগরগে কাহিনি প্রচারে বিব্রত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণও। এর আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে হোয়াইট হাউসের ইন্টার্ন মনিকা লিউনস্কিকে নিয়ে এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছে।
এখন পর্যন্ত পর্নো অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। স্টর্মি ড্যানিয়েলস টিভি সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে রগরগে বর্ণনা দিয়েছেন। বলেছেন, ২০০৬ সালে তাঁর সঙ্গে কীভাবে প্রথম দেখা হয়েছিল ট্রাম্পের। সম্পর্কটা দুজনের সম্মতিতেই হয়েছিল বলেও জানান তিনি। আরও জানালেন, প্রতিরোধমূলক কোনো ব্যবস্থা না নিয়েই ট্রাম্পের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল তাঁর। সে সময় ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়ার ছোট সন্তানের বয়স ছিল চার মাস। এরপর ট্রাম্পের সঙ্গে আবারও স্টর্মির শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। মুখ বন্ধ রাখার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠান প্রচারের পর ট্রাম্প টুইটে ছিলেন নীরব। ফ্লোরিডায় অবকাশ থেকে স্থানীয় সময় গতকাল রোববারই ওয়াশিংটনে ফিরেছেন ট্রাম্প। সাংবাদিকদের ছুড়ে দেওয়া প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়েই দ্রুত হেঁটেছেন। ফার্স্ট লেডি মেলেনিয়া ট্রাম্প থেকে গেছেন ফ্লোরিডায় তাঁদের নিজস্ব অবকাশ কেন্দ্র মার-এ লাগোতে। বসন্ত অবকাশে মেলানিয়ার সেখানে থেকে যাওয়াটা পূর্বনির্ধারিত ছিল বলেও জানানো হয়েছে।
তবে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের আইনজীবী মাইকেল এভেনাতি রোববার দেওয়া টুইটে বলেছেন, বিষয়টি শেষ নয়, কেবল শুরু।
স্টর্মি ড্যানিয়েলস ও অন্য নারীরাও ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের বিবরণ দিয়েছেন। হোয়াইট হাউস থেকে সব অভিযোগ অস্বীকার করা হলেও খোদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নীরবই রয়েছেন। এই নীরবতা আর বেশি দিন ধরে রাখতে পারবেন না, এমনটাই মনে করছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম।