নিউইয়র্ক পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাড়ছে

নিউইয়র্ক নগর পুলিশের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ বেড়েই চলছে বলে একটি নিরপেক্ষ সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সিভিলিয়ান কমপ্লেইন্ট রিভিউ বোর্ড ২০১৭ সালের বিভিন্ন অভিযোগ পর্যালোচনা করে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলেছে, নিউইয়র্ক নগর পুলিশ কর্মকর্তাদের অসদাচরণের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে।
১২ এপ্রিল প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে পুলিশ কর্মকর্তাদের অসদাচরণের ৪ হাজার ৪৮৭টি ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০১৬ সালে একই ধরনের ৪ হাজার ২৮৫টি অভিযোগ সংস্থাটির কাছে জমা দেওয়া হয়। অসদাচরণের মধ্যে ছিল ভাষাগত অপমান থেকে শুরু করে অতিমাত্রায় বল প্রয়োগ।
গত ৭ বছর ধরে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের হার নিম্নগামী ছিল। তবে ২০১৭ সালে আগের বছরের তুলনায় পুলিশের অসদাচরণের ঘটনা ২০২টি বেড়েছে। ঠিক কী কারণে এই অসদাচরণের ঘটনা গত বছর হঠাৎ বেড়ে গেছে তা জানতে পারেনি সংস্থাটি। ২০১৭ সালে ব্রঙ্কসের ৭৫ প্রিসেন্ট এলাকা থেকে সর্বাধিক ১৮৬টি অভিযোগ আসে। ইস্ট নিউইয়র্ক ও সাইপ্রাস হিল এই প্রিসেন্টের অন্তর্ভুক্ত।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযোগের শতকরা হার ২৫ প্রিসেন্টের অন্তর্ভুক্ত ইস্ট হ্যার্লেম থেকে বেশি ছিল। মোট অভিযোগের ১৬ শতাংশ অর্থাৎ ১ হাজার ১০০ বাসিন্দা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। ৫৮ শতাংশ অভিযোগ ছিল পুলিশ কর্মকর্তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার সংক্রান্ত। এই অভিযোগের মধ্যে রয়েছে বাসায় বেআইনি তল্লাশি, পুলিশের নাম, পরিচয় ও নম্বর জানাতে অস্বীকৃতি এবং গ্রেপ্তারের ভীতি প্রদর্শন।
তবে সংস্থাটি অনুসন্ধান করে সব অভিযোগের যথার্থতা যাচাই করেনি। ২০১৭ সালে অভিযোগের যথার্থ নিরূপণের হার ছিল ২০ শতাংশ। ২০১৬ সালে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার সংক্রান্ত তেমন কোনো অভিযোগ ছিল না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একজন মুখপাত্রের দাবি, ২০১৭ সালে ৩৬ হাজার পুলিশ কর্মকর্তা ২০ লাখের বেশি নগরবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ৫০ লাখের বেশি ফোনকলের সাড়া দিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া ৯০ শতাংশ পুলিশ কর্মকর্তা নগরবাসীর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের অভিযোগ পাননি।
পুলিশের এই মুখপাত্র বলেন, পুলিশের সিংহভাগই প্রতিদিন নগরবাসীর কল্যাণে অপরাধ রোধে লড়াই করেন। নগরবাসীকে সাহায্য করেন। ১৯৫০ ’এর দশক থেকে পুলিশ নগরীকে নিরাপদ রাখার কাজে নিয়োজিত।
উল্লেখ্য পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগের যথার্থতা কোনো তদন্তের মাধ্যমে নিরূপিত হয়নি।