ট্রাম্প-কিম বৈঠক নিয়ে আগ্রহ বেশি ট্রাম্পের!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং-উনের মধ্যে বৈঠক হবে কি হবে না—এমন সংশয় চলছে দুই পক্ষ থেকেই। তবে বৈঠক সফল বা ব্যর্থ যা-ই হোক, অন্তত বৈঠকটি হোক সেটা চান ট্রাম্প।
বহুল আলোচিত বৈঠকটি হওয়ার কথা ১২ জুন। সময় বাকি মাত্র দুই সপ্তাহ। এ নিয়ে চলছে দোলাচল।
সিএনএনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, দুই দেশের শীর্ষ বৈঠকটির পরিণতি নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা খুব একটা আশাবাদী নন। ট্রাম্প তাঁর উপদেষ্টাদের ১২ জুনের বৈঠকের লক্ষ্য নিয়ে এগোতে বলেছেন। যদিও জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তাদের মতে, পূর্ণ প্রস্তুতির জন্য হাতে যথেষ্ট সময় নেই। এ ব্যাপারে উদ্বেগের কিছু নেই বলে ট্রাম্প প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন। বৈঠক যথাসময়ে হওয়ার বিষয়ে তাঁর আগ্রহ রয়েছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এর আগেও দুই পক্ষ বৈঠকের জন্য সময় নির্ধারণ করলে তা বাতিল হয়ে যায়। মার্কিন মিত্ররা আশাবাদী, এবার ভিন্ন কিছু ঘটবে।

বৈঠক নিয়ে এশিয়াজুড়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের ট্রাম্পের দিকনির্দেশনা জানানো হয়েছে। গতকাল সোমবার মার্কিন কর্মকর্তাদের একটি দল সিঙ্গাপুরে পৌঁছেছে। পিয়ংইয়ং থেকেও প্রতিনিধিদলের এসে পৌঁছানোর কথা।

ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা জন বোল্টন প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, কিমের সঙ্গে তাঁর যদি দায়সারাগোছেরও একটা বৈঠক হয়, তাও সেটা হবে কূটনৈতিক বিজয়। ভবিষ্যতে তা আরও কার্যকর বৈঠকের পথ খুলে দেবে।
গত রোববার সন্ধ্যায় এক টুইটে ট্রাম্প বলেছেন, ‘কিম জং-উন এবং আমার বৈঠক আয়োজনের পূর্বপ্রস্তুতির জন্য মার্কিন প্রতিনিধিদল উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছেছে। আমি বিশ্বাস করি, উত্তর কোরিয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে এবং একদিন শক্ত অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে। এ বিষয়ে কিম জং-উন একমত আমার সঙ্গে। এটা হতে যাচ্ছে।’

গতকাল সকালে ট্রাম্প বৈঠকের বিষয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে কথা বলেছেন। এই বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগে শিনজো আবের বড় ভূমিকা রয়েছে। ট্রাম্প ও আবে ১২ জুনের সম্ভাব্য বৈঠকের আগে সাক্ষাৎ করতে পারেন বলে জানা গেছে।