ট্রাম্পের দেশে কিমের ডান হাত

কিম-ইয়ং-চল ও মাইক পম্পে (ডানে)। ছবি: এএফপি
কিম-ইয়ং-চল ও মাইক পম্পে (ডানে)। ছবি: এএফপি

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের ডান হাত হিসেবে পরিচিত জেনারেল কিম-ইয়ং-চল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। সিঙ্গাপুরে পূর্বনির্ধারিত দুই দেশের ঐতিহাসিক বৈঠককে সামনে রেখে তাঁদের এ সাক্ষাৎ বলে বিবিসির খবরে বলা হয়।

গতকাল বুধবার চীন থেকে কিম-ইয়ং-চল যুক্তরাষ্ট্রে উড়ে যান। সেখানে পম্পেওয়ের সঙ্গে রাতে খাওয়াদাওয়া সারেন। আজ বৃহস্পতিবার দুজনের আবার বৈঠক হওয়ার কথা।

গত প্রায় ২০ বছরে এই প্রথম উত্তর কোরিয়ার কোনো শীর্ষ কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রে এলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পূর্বনির্ধারিত ১২ জুনের বৈঠক বাতিল করে দিয়েছিলেন। পরে আবার দুই পক্ষের চেষ্টায় আগের তারিখেই বৈঠকটি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদি এ বৈঠক হয়, তাহলে এটি হবে দুই দেশের নেতাদের মধ্যে প্রথম বৈঠক।

গতকাল সন্ধ্যায় জাতিসংঘের সদর দপ্তরের কাছে একটি ভবনে পৃথকভাবে হাজির হন পম্পেও ও জেনারেল কিম।

নৈশভোজের তালিকায় ছিল স্টেক, কর্ন, পনিরসহ মজাদার অনেক খাবার। ছবি: এএফপি
নৈশভোজের তালিকায় ছিল স্টেক, কর্ন, পনিরসহ মজাদার অনেক খাবার। ছবি: এএফপি

পম্পেও পরে টুইট করেন, কিম-ইয়ং-চলের সঙ্গে খেতে খেতে বেশ কাজের কথা হয়েছে। খাবারের তালিকায় স্টেক, কর্ন ও পনির ছিল।

সিঙ্গাপুরের বৈঠককে সামনে রেখে পম্পেও মার্কিন অবস্থান তুলে ধরেছেন। এ সময় গাদ্দাফির আমলের লিবিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়াকে তুলনার প্রসঙ্গটি তুলে ধরে কিম-ইয়ং তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তাঁরা মনে করেন, লিবিয়ার প্রয়াত নেতা কর্নেল গাদ্দাফি পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থিত বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হওয়ার ভয়ে পরমাণু কর্মসূচি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন।

পশ্চিমাদের মদদপুষ্ট বিদ্রোহীদের দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত ও তাদের হাতে নিহত লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির সঙ্গে কিম জং-উনকে মিলিয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা মন্তব্য করার পর উত্তর কোরিয়া কর্কশ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এটিকে ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার ‘প্রকাশ্য ক্রোধ ও হিংসা’ উল্লেখ করে বৈঠক বাতিল করেছিলেন।

এদিকে দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুনজমে উত্তর কোরিয়ার ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোয়ে সন-হুই যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত সুং কিমের সঙ্গে বৈঠক করছেন। লম্বা বিরতিতে আগামী রোববার পর্যন্ত তাঁদের বৈঠক চলবে।