মেলানিয়া ট্রাম্পের খোঁজ মিলেছে

মেলানিয়া ট্রাম্প
মেলানিয়া ট্রাম্প


অবশেষে মেলানিয়া ট্রাম্পের খোঁজ মিলেছে। ২০ দিন ধরে তাঁকে একবারের জন্যও দেখা যায়নি। এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। তিনি কি হোয়াইট হাউস থেকে পালিয়েছেন? বড় ধরনের অসুখে পড়েছেন? নাকি বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট ম্যুলারের তদন্তে সহযোগিতার জন্য আপাতত গাঢাকা দিয়েছেন?

বুধবার এক টুইটে মেলানিয়া নিজেই এই জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি পরিবারের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে ভালো আছি।’

মেলানিয়াকে জনসমক্ষে শেষবারের মতো দেখা যায় গত ১০ মে, সেদিন ভোররাতে উত্তর কোরিয়া থেকে মুক্ত তিন আমেরিকানকে স্বাগত জানাতে সামরিক বিমানবন্দরে স্বামীর সঙ্গে গিয়েছিলেন। এর চার দিন পর তিনি কিডনির ‘সামান্য’ সমস্যার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন। সুস্থ হয়ে তিনি ঘরে ফিরে আসার কথা একজন মুখপাত্রের মাধ্যমে জানালেও মেলানিয়াকে জনসমক্ষে আর দেখা যায়নি। এমনকি হোয়াইট হাউসে বিদেশি অভ্যাগতদের জন্য নৈশভোজেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। তাহলে কোথায় মেলানিয়া?

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যিনি টুইটারে বিশ্বের হেন বিষয় নেই, যা নিয়ে ফোড়ন কাটেন না, তিনি স্ত্রীর ব্যাপারে একদম চুপচাপ। মেলানিয়া হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি একটি টুইটে নিজের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন। তাতে অবশ্য তিনি নিজের স্ত্রীর নামের বানানটি ভুল লেখেন, এই নিয়ে চতুর্দিকে ঠাট্টা শুরু হলে তিনি সে টুইট মুছে ফেলেন। ব্যস, এই পর্যন্তই।

সবাই একমত, অন্য অধিকাংশ ফার্স্ট লেডি থেকে মেলানিয়া কিছুটা ভিন্ন। তিনি একসময়ের নামজাদা মডেল হলেও ট্রাম্পের সঙ্গে বিয়ের পর যথাসম্ভব নাগরিক নজর এড়িয়ে থাকতে চেয়েছেন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হয়েছেন এ কথা ঘোষণার পর মেলানিয়া নাকি ভয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন। কেন, তখন বোঝা না গেলেও গত এক বছরে তা বেশ বোঝা গেছে। ‘বহুবল্লভ’ বলে ট্রাম্পের সুনাম দীর্ঘদিনের, কিন্তু তাই বলে একই সঙ্গে এক পর্নোতারকা ও এক প্লেবয় মডেলের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন, তাও সদ্য সন্তান প্রসবের সময়—সে কথা তিনি সম্ভবত আশা করেননি। এই নিয়ে সাংবাদিকেরা তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চেষ্টা করবেন, সেই ভীতি থেকেই সম্ভবত লোকচক্ষুর আড়ালে থাকতে অধিক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছেন মেলানিয়া।

হাসপাতালে ভর্তির ব্যাপারটা অবশ্য ভিন্ন। যে সামান্য কিডনি সমস্যার কথা বলে মেলানিয়া হাসপাতালে যান, তার জন্য তিন-চার দিন হাসপাতালে থাকার কথা নয়। সিএনএনের চিকিৎসক ভাষ্যকার সঞ্জয় গুপ্ত ইঙ্গিত করেছেন, মেলানিয়ার সমস্যা সম্ভবত আরও গুরুতর। এই নিয়ে চতুর্দিকে গুঞ্জনের একটা ভালো দিক হলো এই যে মেলানিয়া রাতারাতি ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন, সবাই তাঁর প্রতি অধিক সহানুভূতিশীল হয়ে পড়েছেন।

সর্বশেষ জনমত জরিপ অনুসারে মেলানিয়াকে পছন্দ করে এমন আমেরিকানের সংখ্যা ৫৭ শতাংশ। সিএনএনের কেইট বেনেট মন্তব্য করেছেন, এই হিসাব সত্যি হলে মেলানিয়াই হলেন বর্তমান হোয়াইট হাউসের সবচেয়ে জনপ্রিয় সদস্য।