তদন্তের রাশ টানতে ট্রাম্প চারবার চাপ দিয়েছিলেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া তদন্তের লাগাম টেনে ধরার জন্য কমপক্ষে চারবার অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেসনকে চাপ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে তিনবার সরাসরি এবং অন্যবার ফোনে চাপ দেন। এই আলাপ সম্পর্কে অবহিত একাধিক সূত্রের বরাতে অ্যাক্সিওসডটকম এ খবর দিয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে বহুবার আলোচনা হয়েছে, এ তথ্য থেকে বোঝা যায় সেসনকে অব্যাহতি নেওয়া থেকে থামাতে তাঁর (সেসনের) ওপর ট্রাম্পের চাপ যা জানা গেছে, এত দিন তার চেয়ে অনেক ভারীই ছিল। এই লাগাতার চাপে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা অস্বস্তি বোধ করেন, কারণ তাঁরা বিষয়টিকে অসংগত মনে করেছিলেন এবং এটি রাজনৈতিক ও আইনগতভাবে সমস্যার হতে পারে ভেবে উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন।

নিউইয়র্ক টাইমস চলতি সপ্তাহে এ রকম একটি আলাপের খবর দেয়। আলাপটি মার্চ ২০১৭ মার-আ-লাগোতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেসনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পের বাকি তিনটি আলাপের খবর এর আগে কোথাও প্রকাশিত হয়নি।

আলাপ সম্পর্ক অবগত একটি সূত্র অ্যাক্সিওসডটকমের প্রতিবেদক জনাথন সোয়ানকে বলেন, এসব আলাপ গত বছর প্রায় পুরো সময়, একবারে বছরের শেষ অবধি চলেছে—গত মার্চে সেসন তদন্ত থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর অল্প সময়ের মধ্যে সীমিত থাকেনি।

আলাপ সম্পর্কে অবগত এমন দুটি সূত্র প্রতিবেদককে জানায়, তাদের জানামতে প্রেসিডেন্ট কখনোই সেসনকে রাশিয়া থেকে তাঁর অব্যাহতি বাতিল করতে বলেননি। তিনি এর পরিবর্তে সেসনকে জিজ্ঞেস করেছিলেন তিনি (সেসন) ফিরে আসার বিষয়টি নিয়ে ‘ভাববেন কি না’।

এই আলোচনা সম্পর্কে অবগত এমন দুটি সূত্রের বক্তব্য অনুসারে ট্রাম্প সেসনকে বলেছিলেন তিনি যদি ‘ঠিক কাজটি’ করেন এবং রাশিয়া তদন্তের লাগাম নিজের হাতে তুলে নেন, তাহলে রক্ষণশীলেরা তাঁকে (সেসনকে) ‘বীর’ মনে করবেন।

একটি সূত্রের মতে ট্রাম্প বলেন, সেসন যদি হিলারি ক্লিনটনের ব্যাপারে তদন্ত করেন, তাহলেও তিনি বীর বলে গণ্য হবেন।

ট্রাম্প ‘বীর’ সংক্রান্ত কথাগুলো সহকারীদের কাছে আলাদাভাবে পুনরাবৃত্তি এবং তাঁর ব্যবসার বিষয়গুলো দূরে রাখতে ম্যুলারের তদন্তের সীমানা সীমিত করা যায় কি না, তা নিয়ে একান্তে গভীর চিন্তা করেন।

হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সেসনের একজন মুখপাত্রও কিছু বলতে রাজি হননি।