ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগান দিল হিস্পানিক ককাস

ডোনাল্ড ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প

মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নেওয়া ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’ অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ডেমোক্রেটিক পাঁচ কংগ্রেস সদস্য। গতকাল মঙ্গলবার রিপাবলিকান এক বৈঠক থেকে ট্রাম্পের বের হয়ে যাওয়ার সময় ক্যাপিটল হিলের সামনে নাটকীয় এ ঘটনা ঘটে বলে সিএনএনের খবরে বলা হয়। 


বিক্ষোভকারী এই পাঁচজনই কংগ্রেসনাল হিস্পানিক ককাসের সদস্য। তাঁদের হাতে ছিল ‘পরিবার মানে একত্র’ লেখা প্ল্যাকার্ড।

ইউএস ক্যাপিটল পুলিশ যখন হলঘরে যাওয়ার পথটি ট্রাম্পের জন্য পরিষ্কার করছিলেন, তখন ওই সদস্যরা সেখানে এসে দাঁড়ান। ট্রাম্প যাওয়ার সময় কয়েক ইঞ্চি দূরত্বে দাঁড়িয়ে তাঁরা এই প্রতিবাদ জানান।

কংগ্রেসে ক্যালিফোর্নিয়ার প্রতিনিধি জুয়ান ভারগাস চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘আমাদের পরিবার ভাঙা বন্ধ করো, আমরা পিছু হটব না।’

তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যাওয়ার পথে এই ডেমোক্র্যাটদের যেন দেখেও দেখেননি। তিনি তাঁদের পেছনে থাকা ক্যামেরা ও সাংবাদিকদের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এরপর চলে যান। কিন্তু ট্রাম্পকে যতক্ষণ দেখা গেছে, ততক্ষণ চিৎকার করে দাবি জানিয়ে গেছেন জুয়ান। মা-বাবার কাছ থেকে সন্তানদের বিচ্ছিন্ন করা থেকে বিরত থাকতে তিনি ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান। তিন ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘মি. প্রেসিডেন্ট, আপনার কি সন্তান নেই?’

আরেক ডেমোক্রেটিক নিউইয়র্কের আদ্রিয়ানো এসপাইলাত ক্ষোভের সঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা আমেরিকা নয়।’

গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্স শরণার্থী হিসেবে আশ্রয়প্রার্থীসহ যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’ নীতি গ্রহণের ঘোষণা দেন। ওই সব অভিবাসনপ্রত্যাশীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার কথাও জানান তিনি। ট্রাম্পের এই নীতির কারণে মা-বাবার সঙ্গে আসা অভিবাসী শিশুরা তাদের পরিবার থেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। অভিবাসী শিশুদের তাদের মা-বাবা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবরও ইতিমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। এই অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে গত রোববার বিক্ষোভ করেছেন ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতা ও অধিকারকর্মীরা। এই নীতি থেকে সরে আসতে মার্কিন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। ট্রাম্পের এই নীতিকে অগ্রহণযোগ্য ও হৃদয়বিদারক হিসেবে উল্লেখ করেছেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ও সাবেক ফার্স্ট লেডি লরা বুশ।