সাবার আয়োজনে বৃহত্তর সাক্রামেন্টো ঈদ পুনর্মিলনী

ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফলসমের ভাইস মেয়র আর্নি শেলডন
ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফলসমের ভাইস মেয়র আর্নি শেলডন

ঈদ মানেই খুশি, ঈদ মানেই আনন্দ। এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদের দিনে বিশ্বের সকল মুসলিম পরিবার বন্ধুদের নিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করতে কখনোই কার্পণ্য করেন না, সেটা নিজের দেশেই হোক আর প্রবাসেই হোক। ঈদের পরের দিন অর্থাৎ গত ১৬ জুন শনিবার সন্ধ্যায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের সেই আনন্দধারার পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেয় সাক্রামেন্টো এরিয়া বাংলাদেশি-আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন (সাবা)।
সাবার উদ্যোগে বৃহত্তর সাক্রামেন্টো এলাকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ফলসম মিডল স্কুলের মিলনায়তনে এক উৎসবমুখর পরিবেশে জাঁকজমকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান “ঈদ আড্ডা”। সাবার সভাপতি জিয়া তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে উপস্থিত অতিথিদের ঈদ মোবারক জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠান শুরু করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফলসমের ভাইস মেয়র আর্নি শেলডন। ভাইস মেয়র শেলডন উপস্থিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে এমন একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ করার জন্য সাবাকে ধন্যবাদ জানান। শেলডন বলেন, এমন একটি অনুষ্ঠানে শরিক হতে পেরে তিনি খুবই আনন্দিত।
সুস্বাদু নৈশভোজে ছিল খাসির বিরিয়ানি, চিকেন টিক্কা কাবাব, রসগোল্লা ও সাবা ফার্স্ট লেডির নিজের হাতের রান্না করা ঈদের ঐতিহ্যবাহী জর্দা সেমাই। নৈশভোজের পর সাবার কালচারাল সেক্রেটারি তামান্নার সঞ্চালনায় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ গানের সঙ্গে রং-বেরঙের কাপড়ে সজ্জিত শিশু-কিশোর-তরুণ আর নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে একটি ফ্যাশন শোর মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরু হয়। এরপর স্থানীয় ছোট্ট শিল্পী মাহিতার সুরেলা কণ্ঠের গান এবং সেঁজুতির ফিউশন নৃত্য পরিবেশনার সময় পুরো হলে ছিল পিনপতন নীরবতা। অনুষ্ঠানের আমেজ বাড়াতে নাচ-গান আর আড্ডার মাঝে মাঝে র‍্যাফেল ড্রর আয়োজন করা হয়। মেশকাত, রানা, জিনিয়া আর দীনার পরিচালনায় র‍্যাফেল ড্র অনুষ্ঠানটি উপস্থিত অতিথিদের মাতিয়ে রাখে। বর্ণাঢ্য ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত চমক ছিল সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে আসা বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী সোনিয়া খুকুর একক সংগীত পরিবেশনা।
সাবার ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটির আয়োজনে ছিল প্রাণের ছোঁয়া। মজাদার খাবার, নাচ-গান আর আড্ডায় ভরপুর অনুষ্ঠানটি দেখতে দেখতেই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু রেখে যায় আনন্দের কিছু স্মৃতি, দৃঢ় হয় বন্ধুত্ব, সৌহার্দ্য ও ঐক্যের বন্ধন।