যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয়বারের মতো সুদহার বাড়াল

২০১৫ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে অষ্টমবারের মতো সুদের হার বাড়াল মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ছবি: রয়টার্স
২০১৫ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে অষ্টমবারের মতো সুদের হার বাড়াল মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ছবি: রয়টার্স

আবারও নীতিনির্ধারণী সুদের হার বাড়াল যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ। গতকাল বুধবার সর্বসম্মতিক্রমে সুদের হার শূন্য দশমিক ২৫ বাড়িয়ে ২ থেকে ২ দশমিক ২৫ শতাংশের সীমায় উন্নীত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বড় একটি অংশ চলতি বছর আরও এক ধাপে সুদের হার বাড়ানোর আশা করছে।

চলতি বছর এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সুদের হার বাড়াল ফেডারেল রিজার্ভ। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে এটি অষ্টমবারের মতো সুদের হার বৃদ্ধি।। ভবিষ্যতে সুদের হার আরও কত বাড়তে পারে এবং গতি নিয়ে পর্যালোচনা করছেন বিনিয়োগকারীরা।

এখনো মার্কিন সুদের হার তুলনামূলকভাবে কম। কারণ, ২০০৮ সালের দিকে অর্থনৈতিক মন্দার সময় ঋণকে উৎসাহিত করতে ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে বাড়ানোর প্রচেষ্টায় নাটকীয়ভাবে এই হার হ্রাস করা হয়েছিল, যার প্রতিফল এখনো দেখা যায়।

ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান জেরোমি পাওয়েল এবং অন্য অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, আজকের অর্থনীতি এত শক্তিশালী যে ওই ধরনের উদ্দীপনার আর প্রয়োজন নেই। গতকাল পাওয়েল বলেন, সুদের হার বৃদ্ধি মার্কিন অর্থনীতিতে ফেডের আত্মবিশ্বাসকে প্রতিফলিত করেছে। এটিকে ‘বিশেষ উজ্জ্বল মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি।

তবে তিনি স্বীকার করেন যে বিভিন্ন দেশের ওপর মার্কিন বাণিজ্য শুল্কের ঝুঁকির বিষয়ে ব্যবসায় উদ্বেগ সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে শৃঙ্খলা কিছুটা নষ্ট হচ্ছে।

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ শতাংশ। বেকারত্বের হারও সর্বকালের সর্বনিম্ন অবস্থায় আছে। মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। সরকার আশা করছে, চলতি বছরে অর্থনীতি ৩ দশমিক ১ শতাংশ হারে বাড়বে। মার্চে এই প্রত্যাশা ছিল ২ দশমিক ৮ শতাংশ।