যেভাবে ফোর্ডকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন কাভানা

ক্রিস্টিনা ব্লেসি ফোর্ড। ছবি: রয়টার্স
ক্রিস্টিনা ব্লেসি ফোর্ড। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের জন্য ট্রাম্পের মনোনীত বিচারপতি ব্রেট কাভানার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগকারী তিন নারীর মধ্যে প্রথমজন বলেছেন, ওই লাঞ্ছনা তাঁর জীবন ‘ব্যাপক বদলে দিয়েছে’। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস্টিনা ব্লেসি ফোর্ড অভিযোগ করেছেন, ১৯৮২ সালে হাইস্কুলে পড়ার সময় এক পার্টিতে কাভানা মাতাল অবস্থায় তাঁকে যৌন হয়রানি করেন। তাঁর এই অভিযোগের কারণে সুপ্রিম কোর্টে কাভানার নিয়োগ প্রশ্নের মুখে পড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাঁর অভিযোগের ব্যাপারে প্রকাশ্যে সাক্ষ্য দেওয়ার দিন ঠিক রয়েছে।

এর আগে ক্রিস্টিনা ব্লেসি ফোর্ড লিখিত সাক্ষ্যে বলেন কীভাবে ওই ঘটনা তাঁর জীবনে ‘স্থায়ী প্রভাব’ ফেলে। তবে ব্রেট কাভানা তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

ফোর্ড সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির কাছে সাক্ষ্য প্রদান করে লিখেছেন, ‘ব্রেট কাভানা সুপ্রিম কোর্টে বসার যোগ্য কি না, তা নির্ধারণ করা আমার দায়িত্ব নয়। আমার দায়িত্ব হলো সত্য তুলে ধরা।’

ওই সাক্ষ্যে ঘটনার বিবরণ দেন ফোর্ড। তিনি লেখেন, ‘১৯৮২ সালে এক গ্রীষ্মে কাভানা একটি পার্টিতে মাতাল অবস্থায় তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তিনি তাঁকে পার্টি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যৌন নির্যাতন করেন। তখন ফোর্ডের বয়স ছিল ১৫ বছর, কাভানার বয়স ছিল ১৭ বছর।’

লিখিত বক্তব্যে ফোর্ড বলেন, ‘ব্রেটের ওই হেনস্তা আমার জীবনে বিশাল পরিবর্তন আনে। আমি অনেক দিন পর্যন্ত কাউকে কিছু বলিনি ভয়ে। আমি নিজেকে এই বলে বোঝাতাম যে ব্রেট আমাকে ধর্ষণ করেনি। আমার উচিত এই ঘটনা মন থেকে মুছে ফেলা। এমন ভাব দেখাতাম যে এমন ঘটনা আর ঘটবে না।’

১৯৮২ সালের ওই ঘটনার দিন ব্রেট কাভানা, কাভানার বন্ধু মার্ক জাজ ও ক্রিস্টিনা ব্লেসি ফোর্ড ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি বাড়িতে ছোট একটা পার্টিতে গিয়েছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে মাতাল হয়ে ব্রেট ও তাঁর বন্ধু জাজ ফোর্ডকে একটি শোয়ার ঘরে আটকে রাখেন। তাঁরা ফোর্ডের মুখ চেপে ধরেন। একপর্যায়ে ফোর্ডের ভয় হতে থাকে যে কাভানা হয়তো ঘটনাচক্রে তাঁকে হত্যা করবেন। পরে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ওদের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে সমর্থ হন কিশোরী ফোর্ড।

কাভানার বিরুদ্ধে আরও দুটি যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক সহপাঠী ডেবোরাহ রামিরেজ বলেছেন, ১৯৮০–র দশকে ডরমিটরিতে কাভানা তাঁকে যৌন হেনস্তা করেন। তৃতীয় একজন দাবি করেছেন, হাইস্কুলে পড়ার সময়ে তিনি ওই নারীকে মারাত্মক যৌন হয়রানি করেন।