বিষপ্রয়োগে হত্যার চেষ্টা ট্রাম্পকে!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিষপ্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে কি না, সেটি এখন তদন্ত করে দেখছে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। গত সোমবার পেন্টাগনের দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে পাঠানো চিঠিতে প্রাথমিক পরীক্ষায় বিষাক্ত পদার্থ রাইসিন পাওয়ার পর ট্রাম্পকে পাঠানো সন্দেহজনক একটি চিঠি জব্দ করা হয়েছে। ওই চিঠিতেও সন্দেহজনক পদার্থের উপস্থিতি মিলেছে। কিন্তু সেটি রাইসিন বা অন্য কোনো বিষাক্ত পদার্থ কি না, তা জানায়নি গোয়েন্দা বিভাগ।

সোমবার পেন্টাগনে পাঠানো দুটি চিঠিতে রাইসিন পাওয়া যায়। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র কর্নেল রব ম্যানিং গত মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছেন। এই চিঠি দুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস ও নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল জন রিচার্ডসনের কাছে পাঠানো। পেন্টাগনের চিঠিপত্র বিভাগটি এর মূল ভবনের বাইরে একটি পৃথক ভবনে অবস্থিত। ফলে এই বিষাক্ত চিঠি পেন্টাগনের মূল ভবনে প্রবেশ করেনি বলে জানিয়েছেন ম্যানিং।

রেড়ি বীজ থেকে রাইসিন তৈরি করা হয়। এটি গুঁড়া, পেস্ট, বড়ি, গ্যাস বা অ্যাসিডসহ বিভিন্ন রূপে থাকতে পারে। এই বিষাক্ত পদার্থ কোনোভাবে খাবারের সঙ্গে মুখে বা পেটে গেলে, নিশ্বাসের সঙ্গে নেওয়া হলে বা ইনজেকশনের মাধ্যমে রক্তে প্রয়োগ করলে সঙ্গে সঙ্গে বমি, পাকস্থলী ও অন্ত্রে রক্তক্ষরণ, শ্বাসকষ্ট এবং সবশেষে যকৃৎ, প্লীহা ও কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যু হতে পারে। সায়ানাইডের চেয়ে এটি ছয় হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী। এর কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি।

পেন্টাগনের চিঠিপত্র বিভাগে প্রতিবছর পাঁচ লাখ চিঠি আসে। ইউএস পোস্টাল সার্ভিসের সোমবার পাঠানো সব চিঠি এখন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। পেন্টাগনের অপর এক মুখপাত্র ক্রিস শেরউড জানিয়েছেন, তাঁদের পরীক্ষাগারে কিছু চিঠি রয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, সেগুলোতে বিষাক্ত পদার্থ রাইসিনের উপস্থিতি থাকতে পারে। পেন্টাগন পুলিশ চিঠিগুলো এফবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে। হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগনে পাঠানো চিঠি একই সূত্রে গাঁথা বলে ধারণা করা হচ্ছে। চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল পেতে দুই-তিন সময় লাগবে।