আমেরিকা শুধু দেয় না, কেড়েও নেয়

শুক্রবারের বারবেলা। গ্রীষ্ম শেষের প্রাক্‌সন্ধ্যা।
খোশমেজাজে ট্রেন থেকে নেমে ওপরে উঠলাম। বন্ধু সাইফের ভাষায় ভাইস্যা উঠলাম। ডাইভার্সিটি প্লাজার প্রশস্ত চত্বরে ফুল গাছের বেডের আশপাশে নিরিবিলি মতো জায়গা খুঁজে নিয়ে স্বস্তিতে দাঁড়িয়ে কল দিলাম লেখক সাংবাদিক বন্ধু আসিফকে। ফোনের অপর প্রান্ত একটু সময় নিয়ে জানান দিল, সে দপ্তরেই আছে। তার আরেকটু সময় লাগবে।
পূর্ব নির্ধারিত সাক্ষাৎ পর্ব; বিরক্ত হতে পারতাম, হলাম না।
আজ আমি ধৈর্যের প্রতিমূর্তি। আজ চারপাশের সবকিছু সুন্দর। আজ পরম প্রতিদ্বন্দ্বী, অকারণ শত্রু—নিজের নাক কেটে যে আমার যাত্রা ভঙ্গ করতে চায়, তার মুষ্টিবদ্ধ হাতের দিকে আমার নাকটা সে চাইলে বাড়িয়ে দিতে পারি।
কারণ আজ শুক্রবার। সপ্তাহের এই একটি দিন মনের স্ফূর্তি নিয়ে কাজ করি। কারণ এই বেলাটা শেষ করলেই ও বেলা থেকে শুরু হবে আমার নিজস্ব সময়, নিজের মতো করে কাটাবার দুটি দিন। রাতটা বড় মোহনীয় মনে হবে। পরদিন সকাল সকাল চোখ কচলাতে কচলাতে ফ্রেশ হতে হবে না; চেঞ্জ করে রেডি হয়ে বেরোতে হবে না। আহ্! সপ্তাহান্তের শনি-রবি, গোলামির শৃঙ্খলমুক্ত নিজের দুটো দিন!
গলার ভেতর মধু ঢেলে নরম স্বরে আসিফকে ৭৪ সড়কে প্রিন্স রেস্তোরাঁয় আসতে বলে আমি পথ চলি। প্রিন্সের ভেতরে প্রবেশ করে সুবিধামতো একটা টেবিল নিয়ে বসি। দুজনের জন্য পছন্দসই খাবারের কথা বলে ফেবু-তে ডুবে যাই। খাবার আসে। সুন্দর করে ঢেকে রেখে আবার ফেবু। ইব্রাহীম চৌধুরীর পোস্টে চোখ আটকে গেল। বাড়ির লাগোয়া পড়শিকে নিয়ে চমৎকার লেখা। যত এগোই, ততো মুগ্ধ হই, গতিশীল কলমের ঝরঝরে বর্ণনায়।
পড়া শেষে চোখে জল, গলা বোঁজা। চশমা খুলে টিস্যু ধরা হাত কেবল চোখের কোল ছুঁয়েছে, হাত থেমে গেল, এক ঝটকায় মন চোখসহ ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে নিজের চারদিক খুঁজে ফিরল বয়স্ক পুরুষের শব্দ করে কান্নার উৎস। পাওয়া গেল, আমার সারিতেই ডাইনের শেষ প্রান্তে দেয়াল ঘেঁষা দুটো চেয়ার বগলদাবা করে একা একটা ছোট টেবিলে বসা। কান্নার শব্দ আসছে সেখানে বসা এক মধ্যবয়স্ক ভদ্রলোকের গলা ও চোখ থেকে। চোখও শব্দ করে কাঁদে! খুব কম মানুষই তা শুনতে পায়।
ভদ্রলোক কাঁদছেন। চোখ মুছছেন। একটু ক্ষণ বিরতি দিয়ে আবার উঁচু স্বরে কেঁদে উঠছেন। বিলাপ নেই। নীরব অশ্রু বিসর্জন নয়। আবার ডুকরে ওঠা কান্নাও নয়। অবাক হলাম তাকে কেউ খেয়াল করছে না বলে। অবশ্য লোকজন তেমন নেই। যাঁরা আছেন, তাঁরা সবাই একসঙ্গে ভদ্রলোকের পেছন দিকটায় একটু দূরে নেপালি সাইডটাতে (রেস্টুরেন্টটায় একনামের মধ্যেই মিশে থাকা দু’জাতীয় অথেন্টিক খাবার পরিবেশনার দুটো আলাদা ভাগ আছে, সামনের দিকটায় বাংলার বাঙালিয়ানা, পেছন দিকটায় হিমালয় সন্তানদের জন্য অর্থাৎ নেপালি খাবার) মাঝামাঝি একটি বড় টেবিলকে ঘিরে চারজন পুরুষ খাবার খেতে খেতে নিজেদের মধ্যে কথা বলায় ব্যস্ত। উল্টো দিকের কাউন্টারে দাঁড়ানো মেয়ে দুজনও নিজেদের কাজে আত্মমগ্ন। একমাত্র আমিই মানুষটির কান্নার দৃশ্য লুকিয়ে আড়চোখে দেখছি। আত্মধিকৃত হয়ে চোখ সরিয়ে খাবার টেনে নেই। আসিফের জন্য আলাদা প্লেট ও বাটিতে ঢাকা দিয়ে রেখে নিজের প্লেটের খাবারে মনঃসংযোগ করি। খাবার খেতে গিয়েও পারলাম না।
আবারও কান্নার শব্দ। মনের মধ্যে খচ্ খচ্ করতে লাগল। হঠাৎই সন্দেহটা মাথায় খেলা করে গেল, লোকটা অপ্রকৃতিস্থ নয় তো? এবার সরাসরি তাকাই, তার চোখ বন্ধ। চোখের কোল বেয়ে দুই গালে অন্ধকার জলের মোটা রেখা টানা। নাক-গাল ভেজা, অপরিচ্ছন্ন। টেবিলের ওপর পড়ে থাকা ব্যবহৃত পেপার প্লেট ও ফোমের বাটি, ফর্ক ও নাইফ; খাবার শেষ করে যত্নের সঙ্গে গুছিয়ে রাখা। ব্যবহৃত ন্যাপকিনগুলোও এলোমেলো, যত্র-তত্র ছড়ানো নয়। এবার পরিধেয় বস্ত্রাদি খেয়াল করে দেখি; ধোপ-দুরস্ত। হিসাব মিলল না। চিন্তায় ফেলল বিষয়টি। পরিণত বয়সের কোনো ভদ্রলোক প্রকাশ্যে এমন মরাকান্না কাঁদছেন কেন?
মরাকান্না শব্দটা মস্তিষ্কে টোকা মারল যেন! কেউ মারা যায়নি তো? কোনো নিকটজন? ভাবলাম কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করব কিনা; তেমন হলে সান্ত্বনা জানানোর জন্য কিছু বলব কিনা? আমি চেয়ার ছেড়ে ওঠার আগেই তার সঙ্গে কেউ ভাঙা ভাঙা হিন্দিতে কথা বলতে শুরু করেছে বুঝতে পেরে ফ্রিজ শট হয়ে যাই। কান খাড়া করে ওদিকে তাকাই। একজন তরতাজা বাঙালি যুবক ওয়েটার তাঁকে প্রবোধ দেওয়ার চেষ্টা করছে। কাজ হচ্ছে না জেনে যুবকটি অতঃপর ঘনিষ্ঠ হয়ে নিখাদ বাঙালি কায়দায় পরম মমতায় তাঁর পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে সান্ত্বনার কথা বলতে লাগল। ম্যানেজারের চোখজোড়া বোধ করি এদিকেই ছিল। তার কণ্ঠে একরাশ বিরক্তি ঝরে পড়ল।
ওয়েটার ছেলেটি নিমেষে উধাও। সেই সঙ্গে আরেকটি ঘটনা ঘটল আকস্মিক। নেপালি জোন থেকে এক ভদ্রলোক মহিন্দর নাম ধরে এই ভদ্রলোককে ডাকছেন। ভদ্রলোক গা করলেন না দেখে লোকটি উঠে এসে ভদ্রলোকের হাত ধরে নিজেদের টেবিলে নিয়ে চেয়ারে বসালেন। তাদের কথোপকথন আমার কান পর্যন্ত পৌঁছাল না। কিন্তু দেখলাম ভদ্রলোক দু’মিনিটের মাথায় উঠে এসে নিজের জায়গায় বসলেন। এবং আবার কান্না শুরু করলেন।
এবার আর পারলাম না। উঠে গেলাম। তেনজিং নোরগের বংশধরদের সঙ্গে বসার অনুমতি চাইলাম। একজন একটু আপত্তি জানানোর মতো আচরণ করলেন। অন্যরা বরং জানতে আগ্রহী হলেন। যিনি ভদ্রলোককে নিজেদের কাছে ডেকে এনেছিলেন (আমি তাঁর সঙ্গেই কথা বলেছিলাম), তিনি আমাকে সাদরে পাশে বসালেন। ভদ্রলোক অনুমান করেই নিয়েছিলেন। জিজ্ঞেস করলেন, কী জানতে চাই। আমার কৌতূহলের বিষয় তাঁকে বুঝিয়ে বললাম। তিনি খানিকটা সময় নীরব থাকলেন। মনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরটাও যেন নীরব রইল! যেন অনেক দূরে কোথাও কিছু দেখছেন, এমনই উদাস নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বলতে শুরু করলেন মহিন্দরের কথা।
‘মহিন্দর তাঁর ছোটবেলার বন্ধু। এক এলাকায় পাশাপাশি বাস। কলেজ অব্দি সহপাঠী ছিল। বোন ছিল না। চার ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট সে। মা ছিল; বাবা ছিল না। প্রাচুর্য ছিল না; সচ্ছলতা ছিল। দিনগুলো কেটে যাচ্ছিল বেশ। গোল বাঁধতে শুরু করেছিল বড় ভাইকে বিয়ে করানোর পর থেকে। একে একে অন্য ভাইয়েরা সংসারে নতুন মানুষ আনলেন। শুরুতে যা ছিল স্ফুলিঙ্গ, এবার সেটা দাবানলে রূপ নিল। সায়েন্স গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পর মহিন্দরের পড়াশোনা আর এগোতে পারল না। বউগুলো শাশুড়িকে বাড়তি ঝামেলা মনে করতে শুরু করেছিল। মা-অন্তঃপ্রাণ মহিন্দরের সহ্য করতে কষ্ট হচ্ছিল। প্রতিবাদ করায় একদিন বড় ভাই মহিন্দরের গায়ে হাত তুলল। মহিন্দর অনেক কেঁদেছিল। মা দুদিন অন্ন গ্রহণ করেননি। বড় তিন ছেলের একজনও এই দুদিন মায়ের খোঁজ নেননি।
মহিন্দর অনেক দিন ধরেই যা হোক কিছু একটা চাকরির চেষ্টা করে যাচ্ছিল। অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে চাকরি তার একটা জুটে যায়। ছয় মাসের মধ্যে সে ভাই ও ভাই-বউদের কোপে পড়ে পিতৃগৃহ ছেড়ে মাকে নিয়ে শহরতলির দিকে ছোট একটা ভাড়া বাসায় ওঠে। মন্দ কাটছিল না দিন। গোল বাঁধালেন মা ছেলেকে বিয়ে করিয়ে। বউয়ের এই টানাটানির জীবন পছন্দ নয়। উঠতে বসতে শুরু হলো খোঁটা। তদুপরি মহিন্দরের ভাবিদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ হতো। বাড়তি কানপড়া বউটাকে আরও উগ্র, আরও হিংস্র করে তুলছিল। এই অশান্তি থেকে বাঁচতে মা তাকে বাবার পেনশন বাবদ পাওয়া জমানো টাকাটা তুলে দেয়। মহিন্দর চাকরি ছেড়ে ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করে।
কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যবসাটা মুখ থুবড়ে পড়ে। মহিন্দর হতাশ হয়ে চোখে মুখে অন্ধকার দেখে। সে সময় আমাদেরই পরামর্শে ও সহায়তায় সে আমেরিকায় আসে। শুরু হয় কঠিন সংগ্রামের পথে ক্রমাগত হেঁটে চলা। প্রথম কয়েক মাস বড় কষ্টে কাটে। বৈধ কাগজপত্র নেই; তবু কাজ পাওয়ার প্রতি দিনের চেষ্টা আছে। কারণ—সঙ্গে পেট আছে, এই কঠিন কামড়ে ধরা শীতের দেশে মাথা গোঁজার সুবিধাজনক একটা ঠাঁইয়ের জন্য মোটা অঙ্কের ভাড়ার টাকা গোনা আছে। দেশে মা আছে, তার দেখভালের জন্য খরচ আছে। এখানে তার নিজের ফোন বিলসহ নানা বিল পরিশোধের দায় আছে। কষ্টে সৃষ্টে যখন যে কাজ পেয়েছে, করেছে। টাকা পয়সা যা পেয়েছে, কোনরকমে নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে দেশে সামান্যই পাঠাতে পেরেছে। একদিন জানতে পারে তার স্ত্রী তার মাকে ফেলে অন্যলোকের সঙ্গে পালিয়েছে। তীব্র মনঃকষ্টে কয়েক দিন এলোমেলো জীবন যাপন করেছে। তারপর সময়ের প্রলেপে কষ্টের ক্ষত শুকিয়েছে। আস্তে আস্তে অন্যদের মতোই তার বৈধতাহীন এই প্রবাস জীবনের কৃত্রিম চাকচিক্য কষ্টগুলো আড়াল করেছে। নিয়মিত আয়ের ব্যবস্থা হয়েছে। তার এক জ্ঞাতি বিধবা বোনকে ছেলেসহ তার বাসায় এনে মায়ের দেখাশোনার ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। এ দেশে স্থায়ী ও নিরাপদ বসবাসের জন্য সবচেয়ে যা জরুরি, তার ব্যবস্থা সে করতে পারেনি। সুযোগ এসেছিল।
হাজার হাজার মানুষের শামিল হয়ে সেও সিএসএস/লুলাক আবেদন করেছিল। অনেকের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলেও, তার শিকে ছেঁড়েনি। প্যারোলে দেশে যেতে পারত, ভয়ে তাও যায়নি। আজও সে জন্য সে কাঁদে। সবচেয়ে শক্ত ও ভালো যে পথ, ব্যয়বহুল হলেও মহিন্দর সে পথেও বিস্তর টাকা ঢেলেছে। আশা বৃক্ষের সে ফল বৃক্ষ হতেই মিলিয়ে গেছে, মহিন্দর হাত পেতে নিতে পারেনি। গায়ানার এক ডিভোর্সি মহিলা চুক্তির টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। তারপর আর কী? মহিন্দর আছে মহিন্দরের মতো। কাজে যায়, আসে। খায়, ঘুমায়। দিন যায়, রাত আসে। রাত যায়, দিন আসে। মাঝে মাঝে আমরা ডেকে ধরে নিয়ে আসি। আড্ডা হয়। সে চুপচাপ থাকে। উদাস হয়ে ভাবে। মা’র কথা মনে করে কাঁদে। আমরা কিছু মনে করি না বা এ নিয়ে কিছু বলি না। আমরা তো জানি জগৎ সংসারে মা ছাড়া ওর কেউ ছিল না। একটু কানে লাগল, জিজ্ঞেস করলাম ছিল না মানে? ওর মা? আবার নীরবতা। কিছুক্ষণ সকলে চুপ। ভদ্রলোক যখন মুখ তুললেন, দেখলাম চোখের কোণে জল। অন্য সকলের চোখও ভেজা। আর্দ্র গলায়, প্রায় অস্ফুট স্বরে উনি বললেন, গত মাসের ২৮ তারিখে মহিন্দরের মা চলে গেলেন। কথাটা শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশটা পাথরের মতো ভারী হয়ে গেল। সবাই যেন বোবা হয়ে গেছে। বুঝতে পারছিলাম আমিও স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। মহিন্দরের কষ্ট আমাতে ভর করেছে।
সরে চলে আসি নিজের জায়গায়। একবার মহিন্দরকে দেখে নিই। চোখ বন্ধ করে ভাবতে থাকি—অনেক অনেক শতাব্দী, কত কাল আগে থেকে পায়ে হেঁটে, ঘোড়া-গাধা-খচ্চর-উটের পীঠে মাল সামান চাপিয়ে ভাগ্যান্বেষণে মানুষের দেশান্তরী হওয়া সেই যে শুরু হয়েছিল, বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় আজ তা অনেক অনেক গুণ বেশি হয়ে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছে। নিজেকে সচ্ছল, সমৃদ্ধ, প্রাচুর্যময় এবং অন্যদের থেকে নিজেকে আলাদা করে দেখানোর চেষ্টায় এই পরদেশের, পরভাষায় সওয়ার হওয়ার হাতছানি সত্যিই কি সবার হাতে আলাদিনের প্রদীপ ধরিয়ে দেয়? নাকি জীবন থেকে কেড়েও নেয় অনেক কিছু, যা আমাদের কাছে থাকা একান্তই দরকার, শ্বাস-প্রশ্বাসের মতোই যা জরুরি? মনে পড়ল অনেক দিন আগে পত্রিকায় নিয়মিত স্যাটায়ারধর্মী (সিরিজ কমিক) লেখা লিখতেন আবু লিয়াকত। খুব সম্ভব তিনিই লিখেছিলেন, ‘আহ্ মারে ক্যা’ যা আমেরিকার আরেকটি নাম হতে পারে, অর্থাৎ আমেরিকা শুধু দেয় না, কেড়েও নেয়। আদরই করে না কেবল, মারেও। অসংখ্য মহিন্দর মার খেয়ে হতাশায় পথে পথে ঘুরছে। আমার চোখ ফেটে বাঁধ ভাঙা জোয়ারের জল আসতে চাইছিল। গণ্ডদেশ বেয়ে নেমে আসা নোনা জল জিহ্বাকে ছুঁয়ে ফেলে। আমি মন ফেরানোর চেষ্টা করি। আশার আলো জ্বালি চোখে। দেখতে পাই মহিন্দরের মাতৃভক্তি।
মাভৈঃ: মানুষ তাহলে তার সর্বস্ব হারায়নি এখনো? মানবিকতা জেগে আছে অবিচল? মহিন্দরের দিকে তাকাই। আমি স্বপ্ন বুনি। আশা দেখি। মানবের জয় দেখি।