খাসোগি নিখোঁজে দুর্বৃত্ত খুনিদের দোষারোপ ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি।

সৌদি আরবের সাংবাদিক জামাল খাসোগির নিখোঁজ হওয়ার পেছনে ‘দুর্বৃত্ত খুনিরা’ থাকতে পারেন বলে মনে করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

সৌদি বাদশাহ সালমানের সঙ্গে ফোনালাপের পর সাংবাদিকদের কাছে ট্রাম্প তাঁর এই ধারণার কথা জানান।

ট্রাম্প বলেন, খাসোগির কী হয়েছে, এ ব্যাপারে কোনো কিছু জানার কথা জোরালোভাবে অস্বীকার করেছেন সৌদি বাদশাহ।

খাসোগির ব্যাপারে কথা বলতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে সৌদি আরবে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। পম্পেও শিগগির সৌদি আরব যাচ্ছেন।

খাসোগি নিখোঁজ হওয়ার পর প্রথমবারের মতো ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ঢুকেছে তুরস্কের পুলিশ। তারা গতকাল সোমবার কনস্যুলেটে তল্লাশি চালায়।

একদল সৌদি কর্মকর্তা কনস্যুলেটে প্রবেশের এক ঘণ্টা পর সেখানে যায় তুরস্কের পুলিশ। তুরস্কের পুলিশের ধারণা, খাসোগিকে কনস্যুলেটের ভেতর হত্যা করা হয়েছে।

তুরস্কের কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা মনে করছেন, খাসোগিকে কনস্যুলেটের ভেতর হত্যার পর তাঁর লাশ সৌদি আরবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তুরস্কের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে সৌদি আরব। খাসোগি নিখোঁজের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সৌদি বাদশাহ।

২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ঢোকার পর থেকে খাসোগি নিখোঁজ রয়েছেন। তুরস্কের এক নারীকে বিয়ের জন্য কাগজপত্র নিতে তিনি কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কড়া সমালোচক খাসোগি। তিনি সৌদি আরব ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করে আসছিলেন।