কে পাঠাচ্ছে এসব প্যাকেজ?

অভিনেতা রবার্ট ডি নিরোর ঠিকানায়ও পাঠানো হয়েছে সন্দেহজনক বিস্ফোরক ডিভাইস। ছবি: রয়টার্স
অভিনেতা রবার্ট ডি নিরোর ঠিকানায়ও পাঠানো হয়েছে সন্দেহজনক বিস্ফোরক ডিভাইস। ছবি: রয়টার্স

একের পর এক প্রভাবশালীর বাসায় যাচ্ছে রহস্যজনক পার্সেল। খুলতেই ভেতরে মিলছে এমন বস্তু, যা বিস্ফোরকদ্রব্য বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের ঠিকানায়ও গেছে পার্সেল। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ডাকযোগে পেলেন এমন এক পার্সেল। রহস্যময় এই অপরাধী বা অপরাধীর দলকে খুঁজতে মরিয়া মার্কিন সব গোয়েন্দা সংস্থা। তবে এ রহস্যের কিনারা এখনো করতে পারেননি গোয়েন্দারা।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী আট ব্যক্তির ঠিকানায় ডাকযোগে পাঠানো হয় এসব প্যাকেজ। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন,সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সাবেক সিআইএয়ের পরিচালক জন বার্নান, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোলডার, ক্যালিফোর্নিয়ায় ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসম্যান মাক্সিন ওয়াটারস, ব্যবসায়ী জর্জ সরোস ও অভিনেতা রবার্ট ডি নিরোর ঠিকানায় পাঠানো বস্তু নিয়ে চলছে তদন্ত।

বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, এফবিআইয়ের ধারণা, বিভিন্ন ঠিকানায় পাঠানো এসব পার্সেলের অন্তত একটি ফ্লোরিডা থেকে এসেছে। বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডার মায়ামিতে একটি ডাকঘরে সন্দেহজনক বিস্ফোরকদ্রব্যের সূত্র ধরে প্রেরককে শনাক্ত করার চেষ্টা চালায় এফবিআই। এ অভিযানের বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানায়নি সংস্থাটি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী আট ব্যক্তির ঠিকানায় সন্দেহজনক বিস্ফোরক ডিভাইস পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী আট ব্যক্তির ঠিকানায় সন্দেহজনক বিস্ফোরক ডিভাইস পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

মায়ামি-ডেড কাউন্টি পুলিশ জানিয়েছে, ওপা-লোকার একটি ডাক অফিসে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এখানকার নিরাপত্তা–বিষয়ক ফুটেজ যাচাই-বাছাই করে দেখা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বিকেলে বোমা আছে—এমন খবরে নিউইয়র্কের টাইম ওয়ার্নার সেন্টার খালি করে ফেলা হয়। পরে অবশ্য কর্তৃপক্ষ জানায় খবরটি ভুয়া ছিল। ওই ভবনটিতেই মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের অফিস রয়েছে। এ ঘটনার আগের দিন বুধবার সিএনএনের এই অফিসে ডাকযোগে সন্দেহভাজন একটি বোমার প্যাকেজ পাঠানো হয়।

এফবিআইয়ের সহকারী পরিচালক উইলিয়াম সুইনি নিশ্চিত করেন যে সিএনএনের অফিসে পাঠানো প্যাকেজে সাদা গুঁড়া পাওয়া যায়, কিন্তু এতে কোনো জৈবিক হুমকি ছিল না। তবে ওই পাউডার নিয়ে ভার্জিনিয়ার কুয়ান্টিকোতে এফবিআইয়ের পরীক্ষাগারে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।