টরন্টোতে রবীন্দ্রসংগীত উৎসব সমাপ্ত

রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা, কানাডার উদ্যোগে ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় টরন্টোর বাংলাদেশ কানাডা হিন্দু মন্দির মিলনায়তনে শেষ হলো রবীন্দ্রসংগীত উৎসব।
সংগঠনের সভাপতি শাহজাহান কামালের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। চার পর্বে বিভক্ত এ আয়োজনের প্রথম পর্বে পাঁচটি সম্মেলক সংগীত পরিবেশিত হয়। সম্মেলক গানগুলো ছিল—জয় তব বিচিত্র আনন্দ, সুরের গুরু দাওগো সুরের দীক্ষা, যিনি সকল কাজের কাজি, প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে ও আকাশ জুড়ে শুনিনু ওই বাজে।
দ্বিতীয় পর্বে গুণীজন সম্মাননায় এবারে স্মরণ করা হয় বাংলাদেশের উচ্চাঙ্গ সংগীতের পথিকৃৎ প্রয়াত ওস্তাদ মুনশি রইসউদ্দিনকে। তাঁর সম্পর্কে স্মৃতিকথায় অংশ নেন তাঁর দুই পুত্র আলিমুজ্জামান ও আশিকুজ্জামান টুলু। মুনশি রইসউদ্দিনের কর্ম ও জীবনের ওপর পাঠ করে শোনান এ পর্বের সঞ্চালক সাবরিনা হাসান।
নাদিরা ওমরের সঞ্চালনায় ‘যুক্ত করো হে সবার সঙ্গে মুক্ত করো হে বন্ধ’ শিরোনামে আলোচনা ছিল তৃতীয় পর্বে। এতে আলোচক ছিলেন ড. মাহমুদুল আনাম ও ফারহানা আজিম শিউলী। বক্তাদ্বয় বর্তমানে পৃথিবীজুড়ে বিদ্যমান সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার পরিপ্রেক্ষিতে ‘রবীন্দ্রনাথের সমকালীনতা ও প্রাসঙ্গিকতার আলোকে’ শিরোনামের ওপর আলোচনা করেন।

কানাডার টরন্টোয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলনে শিল্পীদের সমবেত পরিবেশনা। ছবি: প্রথম আলো
কানাডার টরন্টোয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলনে শিল্পীদের সমবেত পরিবেশনা। ছবি: প্রথম আলো

চতুর্থ ও সবশেষ পর্বে সংস্থার সদস্যরা বিভিন্ন পর্যায়ের একক রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন এবং দুজন অতিথি শিল্পী শেখর গোমেজ ও রাশিদা মুনীর রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি করেন। সম্মেলক ও একক গানে অংশ নেন ইখতিয়ার ওমর, শাহজাহান কামাল, নাদিরা ওমর, চিত্রা সরকার, জীবিনা সঞ্চিতা হক, হাবিব উদ্দিন, নবিউল হক বাবলু, নিঘাত মর্তুজা শর্মী, নাহিদ কবির কাকলি, কুমকুম বল, সুভাষ দাশ, মঞ্জুর আহমেদ, রুমা হক, পারভিন হোসেন, মুক্তি প্রসাদ ও ফারহানা আজিম শিউলী ও শিখা আখতারি আহমাদ। একক গানগুলো ছিল, পথে চলে যেতে যেতে কোথা, ওগো তুমি পঞ্চদশী, একি এ সুন্দর শোভা, দুয়ার মোর পথপাশে, ওগো তোমার চক্ষু দিয়ে, আজি নাহি নাহি নিদ্রা আঁখিপাতে, মন মোর মেঘের সঙ্গী, দিবস রজনী আমি যেন কার, বঁধু কোন আলো লাগল চোখে, এখনো ঘোর ভাঙে না তোর যে, রাত্রি এসে যেথায় মেশে, সুনীল সাগরের শ্যামল কিনারে, হৃদয়ের একূল ওকূল দুকূল ভেসে যায়, ও যে মানে না মানা, দেখো দেখো শুকতারা, আমি রূপে তোমায় ভোলাবো না ও আমি তোমারই মাটির কন্যা।
অনুষ্ঠানটি শেষ হয় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নবিউল হক বাবলুর ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে। তার আগে শিশুদের হাত দিয়ে অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে তবলায় ছিলেন দোলন সিনহা। মন্দিরায় অলোক মুখার্জী।
অনুষ্ঠানে সপ্রাণ উপস্থিতির জন্য আগত দর্শক-শ্রোতাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা, কানাডা।