নিউইয়র্কে ট্রাভেল এজেন্সির প্রতারণার জাল

ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসায় প্রতারণা আবার বাড়ছে। পত্র-পত্রিকায় ও গণমাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে সহজ-সরল প্রবাসীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। তাদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে অতীতে বিভিন্ন সময় বিপুলসংখ্যক প্রবাসী ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। এখন আবার সেই ধরনের প্রতারকেরা বিভিন্ন নামে বাজারে আসছে। 

ডিসেম্বরে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি পরিবার-পরিজন নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করেন। তাই এ সময় বেছে নেওয়া হয়েছে। নতুন নামে নতুন লোগো নিয়ে ভুঁইফোড় ট্রাভেল এজেন্সির আবির্ভাব ঘটেছে। প্রবাসীরা যাতে এই সব প্রতারক চক্রের হাতে ভোগান্তির শিকার না হন সে জন্য পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্বস্ত ট্রাভেল এজেন্সিগুলো।
এস্টোরিয়ার ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেলস এমনই একটি ট্রাভেল এজেন্সি। ১১ বছর ধরে তারা সততা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে বাংলাদেশি জনসমাজে সেবা দিয়ে আসছে। ডিজিটাল ট্র্যাভেলসের প্রধান কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিভিন্ন নামে ভুয়া ট্রাভেল এজেন্সির উৎপাত আবার শুরু হয়েছে। তারা শুধু বড় বড় বিজ্ঞাপনই দিচ্ছে না, আরও সুনিপুণ পন্থায় তারা প্রতারণার জাল বিস্তার করেছে। কৌশল হিসেবে তারা কিনে নিচ্ছে হাজার প্রবাসীর ইমেইল ও ফোন নম্বর।
বিজ্ঞাপনের বাইরে তারা বাল্ক ইমেইলে লোভনীয় অফার দিচ্ছে। এর বাইরে অনেককে পাঠাচ্ছে টেক্সট মেসেজ। এসব কৌশলের জালে অনেক প্রবাসী এখন আটকা পড়ছেন। বেশ কিছু প্রবাসী ইতিমধ্যে বিমান বন্দর থেকে ফিরে এসেছেন কোনো বুকিং না পেয়ে। অর্থাৎ ভুয়া কাগজ দেখিয়ে অনেকের পকেট খালি করে নিয়েছে তারা।
এস্টোরিয়া ডিজিটাল ট্রাভেলসের নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রবাসীদের প্রতি আমাদের পরামর্শ হবে ১০ বা ২০ ডলার সাশ্রয় করতে গিয়ে এমন ভোগান্তির শিকার হবেন না। নিজের পরিবার-পরিজন নিয়ে এয়ারপোর্টে যাওয়ার পর লাগেজসহ সবাইকে নিয়ে ফেরত আসার চেয়ে বড় ভোগান্তি আর কিছু হতে পারে না। তাই আমি বলব সস্তার ফাঁকা বুলিতে বিভ্রান্ত হবেন না। দেখে-শুনে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিন। ১০-২০ ডলার বেশি হলেও স্বস্তিতে ভ্রমণ করুন।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন এয়ার এজেন্সি মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করছে বাংলাদেশি কমিউনিটির মাধ্যমে। আমিরাতের এই রুটের অন্যতম জোগানদাতা হচ্ছে বাংলাদেশিরা। আমিরাত এখন বিশ্বের নম্বর ওয়ান এয়ার লাইনস। এর বাইরে কাতার, কুয়েত সহ বিভিন্ন এয়ার লাইনস চুটিয়ে ব্যবসা করছে বাংলাদেশিদের কাছ থেকে। টার্কিশ এয়ার লাইনস জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দিনে দিনে। এই অবস্থায় বাংলাদেশের বিমান নিয়ে কেন সংশয় কাটছে না তা আমরা জানি না। তবে এটা নিশ্চিত যে সত্যিকার পরিকল্পনা নিয়ে বিমান নর্থ আমেরিকা রুট চালু করলে এটা একটি লাভজনক রুট হিসেবে বিবেচিত হবে।