বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের দেশে নিয়ে রায় কার্যকরের দাবি

জ্যাকসন হাইটসে ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সেমিনারে অতিথি ও আয়োজকেরা
জ্যাকসন হাইটসে ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সেমিনারে অতিথি ও আয়োজকেরা

ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস ডেভেলপমেন্ট ইউএসএ-এর সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ নভেম্বর জ্যাকসন হাইটসে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের হত্যাকারীদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানানো হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকারীদের মধ্যে যারা আমেরিকা, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে বিচার কার্যকর করার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার দাবি জানাতেই এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে প্রধান বক্তা ও আলোচক ছিলেন মূলধারায় বাংলাদেশি আমেরিকান রাজনীতিক ও বিজ্ঞানী মোরশেদ আলম। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেসা। সেমিনারে এ ছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি ও নিউইয়র্ক প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে ইতিহাসের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করেন বক্তারা। একই সঙ্গে মানবাধিকার রক্ষায় এদের বিচার কার্যকরের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তাঁরা।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমেরিকার মূলধারার রাজনীতিতে বাঙালিদের আরও এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে সরকারি পর্যায়ে এ ধরনের বিষয়ে প্রভাব বিস্তার করা সহজ হবে। একই সঙ্গে এ ধরনের সেমিনার, র‍্যালিসহ নানাবিধ সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। এতে আশ্রয়দাতা দেশের কাছে খুনিদের সত্যিকারের পরিচয় প্রকাশ পাবে।
সাদিয়া ফয়জুন্নেসা বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে বিচারের আওতায় আনতে সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে তাঁরা তাঁদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদপত্রে প্রচার ও বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষা পাঠক্রমে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে জোর লবিং করতে পারেন, যাতে এই দেশে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশ সম্পর্কে জানে এবং স্বাধীনতাবিরোধী ও ১৫ আগস্টের খুনিদের চিনতে পারে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন মাসুদুল হাসান। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, তাঁর বয়স ৬৬ বছর। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি এই খুনিদের বিচার কার্যকর করার লড়াই চালিয়ে যাবেন। সেমিনারে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটসের সভাপতি শাহ শহিদুল হক সাইদ।